Published : Nov 10, 2024, 10:57 AM ISTUpdated : Nov 10, 2024, 10:58 AM IST
চরম ঝুঁকির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে হিন্দুদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানগুলির মধ্যে অন্যতম কেদারনাথ। পুরাণ অনুযায়ী শিবঠাকুরের প্রিয় স্থানগুলির মধ্যে একটি হল কেদারনাথ। সম্প্রতি তথ্যের অধিকার রিপোর্ট নিয়ে অশনি সংকেত দিয়েছে পরিবেশপ্রেমিরা।
হিন্দুদের অন্যতম প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথ। এপ্রিলের শেষ থেকে মত্র ৬ মাস পর্যন্ত খোলা থাকে কেদারনাথের মন্দির। বছরের বাকি সময় শিব মূর্তি নিয়ে আসা হয় উখি মঠে।
212
মাত্র ৬ মাস
খাতাকলমে মাত্র ৬ মাসই তীর্থযত্রীদের আনাগোনা দুর্গম কেদারখণ্ড বা কেদারনাথে। কিন্তু এই ৬ মাসেই তীর্থযাত্রীদের কারণে পরিবেশের যা হাল হয় তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমিরা।
312
আরটিআই রিপোর্ট
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড সরকার কেদারনাথ নিয়ে একটি তথ্যের অধিকারের মাধ্যমে একটি তথ্য দিয়েছে যা নিয়ে অশনসংকেত দেখছেন পরিবেশ প্রেমিরা।
412
অমিত গুপ্তর প্রশ্ন
পরিবেশপ্রেমি অমিত গুপ্তের প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড সরকার হিমালয়ের কেদারনাথ মন্দিরের ল্যান্ডফিল সাইটে পড়ে থাকা অপরিশোধিত বর্জ্যের পরিমাণের কথা জানিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
512
উত্তরাখণ্ড সরকারের উত্তর
উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে মন্দিরের আশপাশে টনটন অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। যাতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুরাণ অনুযায়ী শিবঠাকুরের প্রিয় স্থান কেদারনাথ।
612
বছর অনুযায়ী তথ্য
উত্তরাখণ্ড সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কেদারনাথে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে , মাত্র দুই বছরে মন্দিরের কাছে দুটি ল্যান্ডফিলে ফেলা হয়েছে ৪৯.১৮ টন অপ্রক্রিয়াজাত আবর্জনা। বর্জ্যের পরিমান দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
712
বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি
উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, ২০২২ সলে ফেলা হয়েছিল ১৩.২ টন, ২০২৩ সালে ১৮.৪৮ টন বর্জ্য। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ফেলা হয়েছে ১৭.৫ টন বর্জ্য।
812
প্রক্রিয়াজাত বর্জ্য
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেদারনাথে প্রক্রিয়াজ বর্জ্যের পরিমাণও নেহাত কম নয়। অতিরিক্ত ২৩.৩ টন অজৈব আবর্জনা রয়েছে। যা পুনর্ব্যহার করা যাবে।
912
অপরিশোধিত বর্জ্য
অপরিশোধিত বর্জ্য, একটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে। কারণ এটি জমা হয়ে থাকে। যা উদ্বেগের প্রধান কারণ।
1012
হিমবাহ সংলগ্ন
কেদারনাথ মন্দির রয়েছে ১২০০০ ফুটের একটি বিশাল হিমবাহের কাছে। সেখনে পরিবেশের সামান্য ভারসাম্য নষ্ট হলেই বড়সড় বিপদ হতে পারে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ।
1112
কেদারের দূষণের প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের কথায় কেদারনাথে দূষণের প্রভাব পড়বে গঙ্গা আর মন্দাকিনী নদীতেও। নদীর জল দূষিত হতে বেশি সময় নেবে না। রুদ্রপ্রয়াগ জেলা কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক করা হয়েছে।
1212
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি। নাহলে পাহাড়ের বিপদ নেমে আসবে নদীতে। অপরিশোধিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করা জরুরি।