
কেরালা বিধানসভা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ থেকে রাজ্যপালকে অপসারণের জন্য একটি বিল পাস করেছে। এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে চ্যান্সেলর করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের প্রতিবাদে বিরোধীরা হাউস বয়কট করেছে। তাই বিরোধীদের অনুপস্থিতিতে বিলটি পাস হয়। গত বুধবার বিধানসভায় বিলটি পেশ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের পক্ষে মন্ত্রী পি রাজীব বিলটি পেশ করেন।
এর আগে কেরল সরকার রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য অর্ডিন্যান্স আনার প্রস্তাব দেয়ছে। জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কোনও মতেই রাজ্যপালকে আর রাখতে রাজি নয় সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে ঐক্যমত হয় পিনারাই বিজয়নের সরকার। এ বিষয়ে প্রস্তাব পাশ হলেও নিয়ম মেনে তাতে অনুমোদন দিতে হবে রাজ্যপালকেই। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর দাবি ছিল, সরকারের তরফে প্রস্তাব পাশ করানো হয়ে গেলে রাজ্যপাল তাতে বাধা দিতে পারেন না।
নভেম্বর মাসেই কেরলের কলামণ্ডলম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানো হয় রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে। এমনটাই জানায় কেরল সরকার। বিজয়ন সরকার ঘোষণা করে, রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বদল করা হচ্ছে। ওই পদে বসানো হবে শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের কোনও কৃতীকে।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গও এই রকম পরিস্থিতির মুখে পড়ে। বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় গত বছরের ডিসেম্বরে টুইটারে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের তালিকা টুইট করে জানিয়েছিলেন নিয়ম না মেনে এখানে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। পরে সেই তালিকায় যুক্ত করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কেও। টুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রাজভবন - রাজ্য সংঘাত উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে তীব্র আকার ধারণ করে। রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত ব্যাপক জায়গায় পৌঁছয়। শুধু তাই নয়, উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরুদ্ধে বারবার সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপালকে। রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বেআইনি, ট্যুইট করে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় প্রাক্তন রাজ্যপালকে। রাজ্যের তরফে আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হয়। যদিও সেই বিল এখনও রাজ্যপালেরই বিবেচনাধীন।
মূলত বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য পদে এখনও রাজ্যপাল রয়েছেন ৷ আইন এমনটাই বলে। আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হলেও তা এখনও আইন আকারে পরিণত হয়নি।