প্যাংগং থেকে আর সরবে না ভারত
চিনকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে ভারত
চিন চাইছে আরও পিছিয়ে যাক সেনা
চিনা অগ্রাসন শুরু হয়েছিল মে মাস থেকেই
চিনকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না ভারত। প্যাংগং লেক থেকেও পিছু হঠার কোনও প্রশ্ন নেই। দুই দেশের সামরিক কর্তারা পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমা রেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে আলোচনা করছেন। তারই মধ্যে ভারত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে প্যাংগং লেক থেকে আর একপাও নড়বে না বা পিছিয়ে আসবে না ভারতীয় সেনারা।
সূত্রের খবর ভারত-চিন দুই দেশের মধ্যে শেষ যে সামরিক বৈঠক হয়েছিল সেখানেই ভারতীয় সেনা কর্তারা এই কথা জানিয়েছেন। সূত্রটি জানাচ্ছে চিনের দাবি ছিল পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের তিন নম্বর ফিঙ্গার এলাকায় অবস্থিত ধ্যান সিং থাপা পোস্ট পর্যন্ত ভারতীয় সেনা বাহিনী পিছিয়ে যাক। তাহলে চিনা সেনা বাহিনী আট নম্বর ফিঙ্গার এলাকার দিকে ফিরে যাবে। ভারত বিশ্বাস করে এই এলাকাতেই রয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমা। কিন্তু চিনের এই দাবি মনতে নারাজ ভারত।
সেনা বাহিনী সূত্রের খবর ধ্যান সিং থাপার নামাঙ্কিত পোস্টটি ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে। তাই চিনা সেনা পিছিয়ে না গেলে ভারতও পিছিয়ে আসবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল। সেনা সূত্রের খবর চিনা সেনা বাহিনী প্যাংগং লেকের এমন অংশ দখল করে রয়েছে যেখানে আগে ভারতীয় বাহিনী টহল দিত। তাই ভারত আর নিজের এলাকা ছাড়তে রাজি নয় বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয়ে সেনা আধিকারিকরা মনে করছেন চিনা সেনা বাহিনীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এখনও পর্যন্ত চিনা সেনা গোগরা পাস, দোপসাং উপত্যাকা ও প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার এলাকায় উপস্থিত রয়েছে।
ভারত বরাবরই প্যাংগং লেক এলাকা থেকে চিনা সেনাকে সরে যাওর আবেদন জানাচ্ছে। কিন্তু নিজেদের জেদে অনড় বেজিং। ফিঙ্গার পাঁচ ও ছয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় রীতিমত নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ রয়েছে ভারতের। গোগরায় চিনা সেনারা দুকিলোমিটার সরে গেলেও পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা দফতরের নথিতে বলা হয়েছে গত মে মাস থেকেই ভারতের ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। ৫ মে-র নথিতে বলা হয়েছিল লালফৌজের তৎপরতা বেড়েছে কুংরংনালা, গোগরা, প্যাংগং তসো হ্রদের উত্তর প্রান্তে। আর চিনা সেনার এই অগ্রাসন নিয়ে রীতিমত কথাও হয়েছিল দুই পক্ষের সামরিক কর্তাদের মধ্যে। জুনেরও সামরিক কর্তাদের ফ্ল্যাগ মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত ও চিন দুই দেশের সেনাবাহিনী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে আবারও বেশ কয়কটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিরক্ষা দফতরের নথিতে বলা হয়েছিল গত ডিসেম্বরেও লাদাখ সীমান্তের সমস্যা নিয়ে দুই দেশের সেনা কর্তারা প্রাথমিক বৈঠক করেছিলেন।