পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ, জালিয়াতি ১৩৯ কোটি টাকার

পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির (Fodder Scam) মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। মঙ্গলবার, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাঁচিতে (Ranchi) এক বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত আরও ফাঁসলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) প্রধান তথা বিহারের (Bihar) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় (Doranda Treasury Case) দোষী সাব্যস্ত করল। 
 

Web Desk - ANB | Published : Feb 15, 2022 7:08 AM IST / Updated: Feb 15 2022, 12:53 PM IST

আরও ফাঁসলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) প্রধান তথা বিহারের (Bihar) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। মঙ্গলবার, পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির (Fodder Scam) অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাঁচিতে (Ranchi) এক বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত এদিন তাঁকে ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় (Doranda Treasury Case) ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করল। ইতিমধ্যেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির আরও চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লালুপ্রসাদ।

শুনানির সময় আদালতে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকার জন্য রবিবারই রাঁচিতে এসেছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো। লালুপ্রসাদ ছাড়াও এই এই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার মূল অভিযুক্তদের মধ্যে প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা (Jagdish Sharma), তৎকালীন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (Public Assounts Committee) চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগত (Dhruv Bhagat), পশুপালন (Animal Husbandry) দফতরের সচিব বেক জুলিয়াস (Beck Julius) এবং পশুপালন দফতরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ডঃ কে এম প্রসাদের (Dr K M Prasad) মতো হেভিওয়েটদের নাম ছিল। 

আরও পড়ুন - ফর্মে ফিরলেন লালু! রাজনৈতিক গ্রীষ্মে কৌতূক-ধারায় বিদ্ধ মোদী

আরও পড়ুন - Tejashwi's Wedding: বান্ধবীর সঙ্গে সাতপাকে বাধা পড়লেন তেজস্বী যাদব, কে RJD নেতার স্ত্রী

আরও পড়ুন - Lalu Yadav: 'প্রধানমন্ত্রী মোদী সব জানেন', বুধবার ময়দানে নামার আগেই নীতীশকে তোপ লালুর

গত ২৯ জানুয়ারি, বিশেষ সিবিআই বিচারক এসকে শশীর (Special CBI Judge SK Shashi) আদালত ডোরান্ডা কোষাগার আত্মসাতের মামলার শুনানি শেষ করেছিল। লালুপ্রসাদ সহ ৯৯ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুনানি চলছিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। রায়ের ঘোষণার দিন সব আসামিকেই আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই মামলার মূল ১৭০ জন আসামির মধ্যে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতজন রাজসাক্ষী হয়েছেন, দুজন তাদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং ছয়জন পলাতক।

সব মিলিয়ে বিহার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার সঙ্গে ৯৫০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি জড়িত। অবিভক্ত বিহারের বিভিন্ন জেলায় সরকারি কোষাগার থেকে জালিয়াতি করে ওই অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্য়েই দুমকা (Dumka), দেওঘর (Deoghar) এবং চাইবাসা (Chaibasa) কোষাগার সম্পর্কিত চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো। এর জন্য লালুপ্রসাদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং মোট ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। তবে তিনি চারটি মামলাতেই বর্তমানে জামিন পেয়েছেন।

১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি কথা জানা গিয়েছিল। ১৯৯৭ সালের জুন মাসে সিবিআই লালুপ্রসাদ যাদবের নাম অভিযুক্তের তালিকায় যুক্ত করেছিল। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে, লালুপ্রসাদ এবং এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরও ৪৫ জনকে রাঁচি জেলে বন্দী করা হয়েছিল। ২০১৩-র ডিসেম্বরেই অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট লালুপ্রসাদকে জামিন দিয়েছিল। ২০১৭-র ডিসেম্বরে, সিবিআই আদালত ফের আরও এক মামলায় তাঁকে এবং আরও ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সেই সময় লালুপ্রসাদের জায়গা হয়েছিল বিরসা মুন্ডা কারাগারে।

Read more Articles on
Share this article
click me!