লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার এনডিএ-র বৈঠকে নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কেন্দ্রে ১০ বছর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার চালানোর পর এবার শরিকদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপি-কে। বিরাট কোনও পট পরিবর্তন না হলে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে তৃতীয় মোদী সরকারের পথ গত দু'বারের মতো মসৃণ হচ্ছে না। বিশেষ করে তেলুগু দেশম পার্টি সভাপতি এন চন্দ্রবাবু নাইডু ও জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সমর্থন আদায়ের জন্য অনেক কসরত করতে হচ্ছে বিজেপি-কে। এবার সরকার গঠনে বড় ভূমিকা থাকছে চন্দ্রবাবু ও নীতীশের। ফলে তাঁরা দর কষাকষি শুরু করেছেন। শিবসেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, লোকজনশক্তি পার্টি নেতা চিরাগ পাসোয়ানদের সমর্থনও দরকার বিজেপি-র। ফলে শরিকদের তুষ্ট রাখতে হচ্ছে।
ফিরছে বাজপেয়ী জমানা
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে বিজেপি-র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। সেই সময় একাধিকবার এনডিএ-র শরিক দলগুলির সাহায্য নিয়ে সরকার গঠন করেন বাজপেয়ী। প্রথম দফায় ১৩ দিন পরেই সরকারের পতন হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৩ মাস স্থায়ী হয় সরকার। এরপর অবশ্য পুরো ৫ বছর সরকার চালাতে সক্ষম হন তিনি। ২ দশক পর সেই জমানা ফিরে আসছে।
কী দাবি চন্দ্রবাবু, নীতীশের?
রাজনৈতিক মহলে খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় টিডিপি-র ৭-৮ জনকে রাখার দাবি জানাচ্ছেন চন্দ্রবাবু। এছাড়া একটি রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদও চাইছে টিডিপি। সড়ক পরিবহণ, গ্রামোন্নয়ন, স্বাস্থ্য, আবাসন ও নগরোন্নয়ন, কৃষি, জলশক্তি, তথ্য-প্রযুক্তি ও বাণিজ্য, শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রক চাইছে টিডিপি। চন্দ্রবাবুর মতো নীতীশও দর কষাকষি শুরু করেছেন। জেডিইউ মন্ত্রিসভায় ৩টি পদ চাইছে। টিডিপি ও জেডিইউ এনডিএ জোটেই থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিচ্ছেন না চন্দ্রবাবু, নীতীশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মসনদে নরেন্দ্র মোদী, শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন শেখ হাসিনা
Modi Govt 3.0: সর্বসম্মতিক্রমে এনডিএ-র নেতা নির্বাচিত নরেন্দ্র মোদী, সরকার গঠনে তৎপরতা