গোটা দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা প্রায় শেষের পথে। আর ফলাফলের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে বিজেপি। অষ্টাদশ লোকসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ফিরছে বিরোধী দলনেতার পদ। এমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ভোট গণনার ফলাফল থেকে।
গোটা দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা প্রায় শেষের পথে। আর ফলাফলের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে বিজেপি। অষ্টাদশ লোকসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ফিরছে বিরোধী দলনেতার পদ। এমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ভোট গণনার ফলাফল থেকে।
মঙ্গলবার, সকাল থেকে চলছে চব্বিশের ভোটগণনা। তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু গত দুটি লোকসভা নির্বাচনের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বিজেপি। এমনকি, ৪০০ আসন তো অনেক দূর, ২৫০ আসন পার করতেই হিমশিম খাচ্ছে তারা। মোট ২টি মনোনীত আসন সহ ৫৪৫টি আসনের মধ্যে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য দরকার ২৭৩টি আসন। কিন্তু ফলাফলের যা প্রবণতা, তাতে বিজেপির দৌড় ২৫০-এই থেমে যেতে পারে।
তাই কেন্দ্রে সরকার গড়তে গেলে বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ পার্টির ওপর। কিন্তু এই দুই নেতাই একাধিক বার ‘এনডিএ’ জোট ত্যাগ করেছেন, আবার সেই জোটে ফিরেও গেছেন। অন্যদিকে, এই লোকসভা নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলেই গণনায় ইঙ্গিত মিলছে। সেইসঙ্গে, বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় দরকার ৫৫টি আসন।
এখনও পর্যন্ত, ভোটগণনার যা প্রবণতা, তাতে ৯০ থেকে ১০০টির মধ্যে আসন জেতার জায়গায় রয়েছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরীক দলগুলির মধ্যে কোথাও সম্পূর্ণ আবার কোথাও আংশিক আসন সমঝোতা হয়েছিল চব্বিশের লোকসভা ভোটে। বিজেপির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা বিরোধী ঐক্য ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ফলাফল এবার অনেকটাই ভালো। বেশ অনেকগুলি আসনে জয় পেয়েছে এই জোটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলি।
তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই, যা বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর জন্য যথেষ্ট।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।