আগামী ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে বিজেরপির সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে ক্রমে ক্ষোভ বাড়ছে শিবসেনার অন্দরে। ধীরে ধীরে বিজেপি-শিবসেনা সম্পর্কের ফাটলটা চওড়া হচ্ছে। এবার আসন সমঝোতা মনোমতো না হওয়ায় কল্যান পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ২৬ জন শিবসেনা নেতা পদত্যাগ করলেন। তাঁদের সঙ্গে দল ছাড়লেন আরও ৩০০ জন কর্মী।
পদত্যাগ করা নেতারা জানিয়েছেন, দলের উচ্চতর নেতৃত্ব যাতে অস্বস্তিতে না পড়েন তার জন্যই তাঁরা পদত্যাগ করলেন। তাঁদের বক্তব্য শিব সেনা ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে জোটের কথা ঘোষণা করেছে। কাজেই কল্যান পূর্ব কেন্দ্রে জোট সমর্থিত বিজেপি প্রার্থীকেই তাঁরা সমর্থন করবেন। কিন্তু কল্যান পূর্বের স্থানীয় শিব সেনা নেতাদের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। সেই কারণেি তাঁরা দল ছেড়ে দিলেন।
এই বিদ্রোহী শিবসেনা নেতারা কল্যান পূর্ব কেন্দ্রে ধনঞ্জয় বাদোরে-কে প্রা্থী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রটি বিজেপির কোটাভুক্ত হওয়ায় সেই তা হয়নি। দল ছাড়ার পর তাঁকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ওই কেন্দ্রে দাঁড় করানো হবে। বাদোরে নিজে জানিয়েছেন, গত ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। বিজেপি প্রার্থীকে তাঁরা মানতে পারছেন না। আর তাই, তিনি নির্দল হিসেবে বিদেপির বিরুদ্ধে লড়ডতে চান।
তবে শুধু কল্যান পূর্ব কেন্দ্রেই নয়, বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে মহারাষ্ট্রের অন্যান্য কেন্দ্রেও শিবসেনার নেতারা সন্তুষ্ট নন। অনেক জায়গাতেই বিদেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সিবসেনা নেতারা নির্দল হিসেহবে দাঁড়াতে পারেন।
শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে অবশ্য বারবার করে দলের নেতা-কর্মী ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করছেন। দশেরার সভা থেকেও তিনি দলের নেতা কর্মীদের কাছে, অনেক যোগ্য প্রার্থীকেই টিকিট দিতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রথম থেকেই শিবসেনার অধিকাংশ নেতা-কর্মী ৫০-৫০ বাগে বিজেপির সঙ্গে আসন সমজোতার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু, অমিত শাহ-এর সঙ্গে উদ্ধবের বৈছঠকে ঠিক হয়েছে, বিজেপি লড়বে ১৫০টি আসনে, শিবসেনা ১২৪টিতে, এবং অন্যান্য জোটসঙ্গীর জুটছে ১৪টি আসন।
শুদু আসন সমঝোতাই নয়, উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে এইবার ভোটে প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিও উঠেছে শিবসেনা দলে। এমনকী দশেরার সভাতেই সঞ্জয় রাউত নাম না করেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আদিত্য ঠাকরেইষ শেষ পর্যন্ত বিজেপি-শিবসেনা জোটের ভবিষ্যত কি দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার।