সম্প্রতি ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর জন্য ঐতিহ্যপুর্ণ পর্যটনকেন্দ্রগুলি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই রাজ্যের বেশকিছুঐতিহ্যবাহী কেল্লাকে হেরিটেজ হোটেলে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
সম্প্রতি রাজ্য পরিচালিত মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন-এর তরফে সারা রাজ্যের ২৫টি কেল্লাকে বাছাই করা হয়েছে, যেগুলিকে ঐতিহ্যবাহী হোটেল এবং হসপিটালিটি চেইন-এর সঙ্গে যোগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ঐতিহাসিক এইসব স্থাপত্যের বাণিজ্যিকীকরণ-এর বিষয়ে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে খুব একটা ভালভাবে নেননি অনেকে। ভারতে পর্যটনের বিষয়ে জোর দিতে রাজ্যসরকারের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের কথা ভাবা হয়েছে, তাতে করে অনেকের দাবি ঐতিহ্যবাহী এই সৌধগুলিকে নিয়ে ব্যবসা করার ফলে এর এর ঐতিহ্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনই প্রাচীন বহু যোদ্ধার স্মৃতি জড়িত থাকার জন্য ইতিহাসের অবমাননা হচ্ছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
প্রতীক্ষা ঘঘ নামে এক ট্রেকারের কথায়, তিনি পুরোপুরিভাবেই এই বিষয়টির বিরোধী। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে কেউ যখন খুশি এই স্থানগুলি পরিদর্শন করতে পারেন। যদি এই কেল্লাগুলিকে হোটেলে রূপান্তরিত করে ফেলা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যখন খুশি এইসব জায়গায়ে যেতে পারবেন না। সরকারের উচিত এই সমস্ত ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলিকে যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা। তার পরিবর্তে এগুলির বেসরকারিকরণের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেই মনে করছেন তিনি।
অধরা রইল ইতিহাস,তবুও ইসরোকে উৎসাহ যোগাতে শুভেচ্ছাবার্তায় উপচে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়া
রাষ্ট্রপতি হতে চায় সে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কেন নয়, মজার ছলে স্কুল পড়ুয়াকে প্রশ্ন মোদীর
'যা করতে পারো না তা করো কেন'- চন্দ্রযান ২ নিয়ে ভারতকে কটাক্ষ পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রীর
তাঁর কথার সমর্থনে এক ট্রেকিং কোম্পানীর মালিক প্রথমেশ অবসরে জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী এই স্থানগুলিকে যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় তাহলে এগুলিই দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। বিষয়টির বিরোধীতা করেছেন এনসিপি নেতা সুপ্রিয়া সুলে। ট্যুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি মহারাষ্ট্র ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের স্মৃতিতে ভরপুর। এখানকার কেল্লাগুলিকে হোটেলে না পরিণত করে সেগুলিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।