'গান্ধীর খুনীদের ক্ষমা নয়', আরএসএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে চান মহাত্মা গান্ধীর নাতি

arka deb |  
Published : Jun 09, 2019, 01:22 PM ISTUpdated : Jun 09, 2019, 02:44 PM IST
'গান্ধীর খুনীদের ক্ষমা নয়', আরএসএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে চান মহাত্মা গান্ধীর নাতি

সংক্ষিপ্ত

সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর ভোট প্রচারের সময়ে গান্ধী ঘাতক নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী আরএসএস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন

নির্বাচনে বারবার এসেছে মহত্মা গান্ধী নাম। সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর ভোট প্রচারের সময়ে গান্ধী ঘাতক নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন। তার জেরে দল তাঁকে শো-কজ করে। এখন ভোট শেষ, মন্ত্রিসভা সক্রিয় হয়েছে। এবার গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী আরএসএস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন।

এদিন গান্ধীপত্নী কস্তুরবাদেবীর দেড়শ বছর উদযাপনের প্রাক্কালে তুষার গান্ধী বলেন, এখন গান্ধীবাদী নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতেই পারেন। কিন্তু একজন সক্রিয় গান্ধী কর্মী কখনও চুপ করে বসে থাকতে পারবে না, কেননা ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস নিচ্ছে আর এস এস। 

গান্ধীর পুত্র অরুণ গান্ধীর ছেলে তুষার কান্তি এই প্রসঙ্গে আরও যোগ করেন,  "আমি আরএসএস-কে ঘৃণা করি না।  কিন্তু আমি আরএসএসএর বিরোধী। বিশেষত্ব আরএসএসের বিভেদনীতি আমাদের গোটা দেশকে ভাগ করে দিচ্ছে। আরএসএস-ই এ কাজ প্রথম করছে এমনও আমি বলব না। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আরএসএস-এর বিরোধিতা করাই সব থেকে বেশি জরুরি। না হলে আমরা নিজেদের গান্ধীর কার্যকর তা বলে দাবি করতে পারব না। 

নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ওঠা স্বৈরাচারের প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন তুষার গান্ধী। তাঁর মতে, ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের অন্যতম পীঠ। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন অতীতে ইন্দিরাকেও স্বৈরাচারের খেসারত দিতে হয়েছে। কাজেই কোনও দল বা চিহ্ন তিনি ভয় পান না।

পরিশেষে আসে গান্ধী হত্যার প্রসঙ্গ।  এই প্রসঙ্গে ২০১৯  সালের নির্বাচনেও উত্তাল হয়েছে দেশের রাজনীতি। তুষার গান্ধী বলেন, "আমার প্রতিটি বক্তৃতায় আমি যা বলি তা এবারেও বলব।  গান্ধীর খুনি নাথুরাম গডসে হলেও তিনি সংঘ দ্বারা পরিচালিত। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কে প্রশ্ন করতেই হবে।" 

তুষার গান্ধী এদিন আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে কস্তুরবা গান্ধী ভূমিকার কথা। তাঁর নিজের কথায়, "ভারতবর্ষকে মনে রাখতে হবে কস্তুরবা গান্ধীর ভূমিকার কথা।  আমার বাবা-মা তাঁর জীবনী লিখেছে কিন্তু আমি তারও সমালোচনা করেছি কারণ তাঁরা কস্তুরবাকে গান্ধীর পত্নী হিসেবে দেখিয়েছেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কস্তুরবা মহত্মা গান্ধীর বক্তৃতা খোলা ময়দানে পড়ছিলেন। তখন তাঁকে জেল বন্দি করা হয়। জেলেই কস্তুরবার মৃত্যু হয়। সার্ধশতবর্ষের প্রাক্কালে তাঁকে  স্মরণ করা প্রয়োজন। "

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি