দিল্লিতে চার দিনের সফরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন। একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথেও দেখা করতে পারেন। এ ছাড়া দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎও হবে তার কর্মসূচির অংশ।
বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লি সফর শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন বলে খবর। বিশেষ বিষয় হল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মধ্যেই তাঁর দিল্লি সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিল্লিতে চার দিনের সফরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন। একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথেও দেখা করতে পারেন। এ ছাড়া দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎও হবে তার কর্মসূচির অংশ। বিশেষ বিষয় হল মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর সাধারণত বিরোধী ঐক্যের সঙ্গে যুক্ত হলেও এবার তিনি এমন এক সময়ে দিল্লি সফর করছেন যখন বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে দূরত্ব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের মধ্যেই দেশে ৬ আগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে প্রার্থী করেছে। একইসঙ্গে বিরোধী দল থেকে ভোটের মাঠে রয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভা। তবে এই সময়ের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা ভোট দেবেন না বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তকে বিরোধী জোটের বিভাজন বা ফাটল হিসেবেও দেখা হচ্ছে। মমতার দল বলছে, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলো তাদের সঙ্গে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করেনি। এই চারদিনের দিল্লি সফরে তাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিশেষ বিষয় হতে চলেছে মমতার কাছে।
এদিকে, ১৬তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাজ্যসভার ২৩৩ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি, ১২ জন রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য ও লোকসভার ৫৪৩ জন নির্বচিত সদস্য ভোট দেবেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন জগদীপ ধনখড়। ২০১৯ সাল থেকেই এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সেক্ষেত্রে তাঁর যে অভিজ্ঞতার ঝুলিও ভর্তি রয়েছে তা স্পষ্ট করে বলা যেতেই পারে। যা উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর প্লাসপয়েন্ট হিসেবেই তুলে ধরছে বিজেপি। আইনজীবী হওয়ায় দেশের সংবিধান সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান রয়েছে।
উপরাষ্ট্রপতি ক্ষমতাবলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হন। সেক্ষেত্রে রাজ্যসভাও কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রাজ্যসভায় বিজেপি ও সহযোগীরা সংখ্যার বিচারে এগিয়ে থাকলেও সেখানে বিরোধীরা রীতিমত সক্রিয়। বিশেষত তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম সাংসদরা। তবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতার দলের না থাকাটা ফ্যাক্টর তৈরি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
জগদীপ ধনখড় NDA-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী , বাংলার রাজ্যপালেই সহমত বললেন বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা
দিল্লি পৌঁছালেন NDAর উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, এই রাজ্যে জগদীপ ধনখড়কে নিয়ে তরজা বিজেপি-তৃণমূলের
রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতির আসনে বসতে চলেছেন জগদীপ ধনখড়, রইল তাঁর উত্থানের কাহিনি