মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের বেশ কিছু কোম্পানিও মণিপুরে পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদের হাওয়া বইছিল মণিপুর জুড়ে। মণিপুর হাই কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ সেই হাওয়ার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা। আদালতের নতুন নির্দেশের পরেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা নামিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের আট জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। রাজ্যের স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের বেশ কিছু কোম্পানিও মণিপুরে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানে করে RAF কর্মীদের মণিপুরে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মণিপুরে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রাইফেলসের কর্মীরা মণিপুরের সহিংসতা কবলিত এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৭৫০০ নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে 'গত ২৪ ঘণ্টায় কিছু জায়গায় সহিংসতা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সমাজের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বুধবার বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ব্যানারে মণিপুরের ১০টি জেলায় মিছিল করেছে, যাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা মেইতি সম্প্রদায়কে উপজাতি মর্যাদা দেওয়ার বিরোধিতা করছে। ১৯ এপ্রিল, মণিপুর হাইকোর্ট তার একটি সিদ্ধান্তে বলেছিল যে সরকারের মেইতি সম্প্রদায়কে উপজাতি বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত এবং হাইকোর্ট এর জন্য রাজ্য সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। রায়ের প্রতিবাদে মণিপুরের বিষ্ণুপুর ও চন্দ্রচুড়পুর জেলায় সহিংসতা হয়েছে। হিংসার ঘটনার বিস্তার রোধ করতে, সরকার পাঁচ দিনের জন্য রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে। চন্দ্রচুড়পুর জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এদিকে, এ কারণেই মণিপুরের একটি-দুটি নয়, আটটি জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর মনোভাব নিয়ে এই ৮ জেলায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। বর্তমানে ৫ দিনের জন্য এসব সেবা বন্ধ রয়েছে। এদিকে বক্সার মেরি কমও বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিশেষভাবে কথা বলেছেন তিনি।