এই কংগ্রেস নেতার দাবি অসম, পঞ্জাব ও উত্তরাখন্ডে ক্ষমতায় ধসের জন্য দায়ী কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিশেষত উত্তরাখন্ডে যে সংকটে দল পড়েছে, তাতে শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যর্থতাই ফুটে উঠছে।
ফের বেসুরো কংগ্রেস নেতা (Congress leader) মণীশ তিওয়ারি(Manish Tewari)। বৃহস্পতিবার এক রহস্যময় টুইট করে মণীশ কার্যত হাত শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে খোঁচা (took a dig at the Congress leadership) দেন। এই কংগ্রেস নেতার দাবি অসম(Assam), পঞ্জাব (Punjab) ও উত্তরাখন্ডে(Uttarakhand) ক্ষমতায় ধসের জন্য দায়ি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিশেষত উত্তরাখন্ডে যে সংকটে দল পড়েছে, তাতে শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যর্থতাই ফুটে উঠছে। উল্লেখ্য একদিন আগেই উত্তরাখন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান হরিশ রাওয়াত বলেন তার কখনও কখনও মনে হয়, তিনি বিশ্রাম নিয়ে নিলে ভাল হয়।
অসমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ২০১৪ সালের জুলাইয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন এবং এক বছর পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, পূর্ববর্তী সিএম তরুণ গগৈ এবং দলের হাইকমান্ডের সাথে মতপার্থক্য উল্লেখ করে দল ছাড়েন তিনি। ৫২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে দাবি করার পরেও, রাহুল গান্ধী তাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে অস্বীকার করেন। এরপরেই গগৈ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। সেই ঘটনাকে উল্লেখ করে হিমন্ত বলেছিলেন রাহুলের কাজ তার কথার সাথে মেলে না।
একইভাবে, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এই বছরের শুরুতে কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল গঠন করেন এবং বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানান। রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসার পরেই দল ছাড়েন তিনি। দলের হাইকমান্ডের সঙ্গেও ক্যাপ্টেন অমরিন্দরের মতভেদ ছিল।
এই ঘটনা গুলিই কংগ্রেস হাইকমান্ডের ব্যর্থতা প্রমাণ করে বলে মত মণীশ তিওয়ারির। তবে এবারই শুধু নয়, এর আগেও নিজের বইপ্রকাশের সময় বেসুরো হয়েছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ মণীশ তিওয়ারি তাঁর লেখা নতুন একটি বই থেকে একটি উদ্ধৃতি প্রকাশ করে দলকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলেন। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসবাদী (26/11 Mumbai Attack) হামলার পর মনমোহন সিং-এর (Manmohan Singh) নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-১ সরকারের (UPA-1 Govt) প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেন তিনি। আর এই নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে দেরি করেনি বিজেপি।
মণীশ বলেন, ২০০৮ সালের ওই হামলার পর, ভারতের উচিত ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'একটি গতিশীল প্রতিক্রিয়া' দেওয়ার। অর্থাৎ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা উচিত ছিল মনমোহন সরকারের। তিনি আরও বলেছেন, সংযম কোনও কোনও শক্তির বহিপ্রকাশ নয়, এটি 'দুর্বলতার চিহ্ন'।