মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো হলেও, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করতে নারাজ ভারত।
মার্কিন বিদেশ দফতরের রিপোর্টে ভারতে মানবাধিকার নিয়ে যে সব মন্তব্য করা হয়েছে, তার তীব্র সমালোচনা করল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন বিদেশ দফতরের রিপোর্ট অত্যন্ত একপেশে। কেন্দ্রীয় সরকার এই রিপোর্টকে কোনওরকম গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই রিপোর্টে মণিপুরে হিংসা, বিবিসি-র দফতরে আয়কর ফাঁকি নিয়ে অভিযান, কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ভারত। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর অধিকার নেই, তেমনই কোনও প্রমাণ ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অধিকারও নেই। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, ‘এই রিপোর্ট অত্যন্ত একপেশে। ভারত সম্পর্কে যে কোনও ধারণাই নেই, সেটা এই রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা এই রিপোর্টকে কোনওরকম মূল্য দিচ্ছি না। আপনাদের কাছেও আমাদের অনুরোধ, এই রিপোর্টকে কোনওরকম মূল্য দেবেন না।’
মার্কিন বিদেশ দফতরের রিপোর্টে বিতর্ক
মানবাধিকার সংক্রান্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে অন্তত ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০,০০০-এরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষকে তপশিলি উপজাতিতে অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে ২০২৩ সালের মে-তে উপজাতিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মিছিল করে মণিপুরের উপজাতি ছাত্র সংগঠন। সেই মিছিলের পরেই মণিপুরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। মার্কিন বিদেশ দফতরের রিপোর্টে দিল্লি ও মুম্বইয়ে বিবিসি দফতরে আয়কর বিভাগের অভিযানের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এসব নিয়েই ক্ষুব্ধ ভারত।
নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ
খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের খুনের ঘটনার সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। মার্কিন বিদেশ দফতরে অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরকে খুন করা আততায়ী রয়েছে কানাডাতেই! মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
‘আমাকে খুনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ, প্রতিশোধ নিতে সংসদে হামলা চলবে’- খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুর নতুন হুমকি