এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল কেরল। যাকে অলৌকিক বললেও ভুল হয় না। কাসারগড় পৌরসভার কাছে রাস্তার পাশে গাছ কাটতে গিয়ে একটি প্রাচীন শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে
এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল কেরল। যাকে অলৌকিক বললেও ভুল হয় না। কাসারগড় পৌরসভার কাছে রাস্তার পাশে গাছ কাটতে গিয়ে একটি প্রাচীন শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। কায়ুর ক্লাইকোডের বীরভদ্র মন্দিরের কাছে অতিবৃদ্ধ গাছগুলি পরিষ্কার করার সময় একটি শতাব্দী প্রাচীন শিব লিঙ্গ পাওয়া গেছে। যে ঢিবিটিতে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে সেখানেও গ্রানাইটের অবশেষ রয়েছে।
একজন লোক তার জায়গা পরিষ্কার করছিলেন যা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। সেই সময়ই মাটির নীচে আবৃত অবস্থায় শিবলিঙ্গটি দেখতে পান গোপালকৃষ্ণন নামে একজন স্থানীয়। তিনি বলেন যে শিবলিঙ্গ দেখা গেছে। প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি। পরি আরও খোঁড়াখুঁড়ির হয়। তারপরই বুঝতে পারেন ওটি শিবলিঙ্গ। ঐতিহাসিক গবেষকেরা বলছেন, বহু বছর আগে এখানে যে বিরাট মন্দির ছিল এটাই তার প্রমাণ হতে পারে। কানহানগড় নেহরু আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স কলেজের ইতিহাসের প্রভাষক নন্দকুমার করোথ এবং সিপি রাজীব বলেছেন যে শিবলিঙ্গটি প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো। অষ্টম শতকে পুজোর জন্য যে ধরনের শিবলিঙ্গ তৈরি হত এটি অনেকটা সেরকম বলেও মনে করছেন ঐতিহাসিকরা।
সেই সময় অর্থাৎ অষ্টম শতকের শিবলিঙ্গগুলো আজকের তুলনায় ছোট ছিল বলে জানা গেছে। তাদের দাবি, প্রত্নতত্ত্ব এই ধরনের শিবলিঙ্গ নিয়ে গবেষণা করে একটি দেশের উপাসনা পদ্ধতির কালানুক্রম নির্ধারণ করতে পারে। শিবলিঙ্গ খোলার খবর পেয়ে ভক্তরা সেখানে ভিড় জমান। ওই এলাকায় একটি মন্দির তৈরি করে সেখানে পুজো করা স্থানীয়দের ইচ্ছা।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই শিব লিঙ্গটি পরীক্ষা করার জন্য উপযুক্ত। কারণ এটি সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। কোনও চোট বা আঘাত পায়নি। আর সেই কারণেই এটি পরীক্ষা করে প্রাচীনকালের অনেক পুজোর রীতি বা সমাজ সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছে ঐতিহাসিকরা।
আরও পড়ুনঃ
তাজ বাদে তিরঙ্গা আলোয় সাজবে দেশের প্রত্যেকটি মনুমেন্ট, ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ চমক
মন ভাল রাখতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বই চেয়েছেন, ক্যান্টিনে গিয়ে রসনা তৃপ্তিও করেছেন
নির্ধারিত সময়ের চার দিন আগেই শেষ বাদল অধিবেশন, সরকার-বিরোধীদের দুই রকম মত