রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ সিসিডি-র প্রতিষ্ঠাতা, কর্মচারীদের জন্য লিখে গেলেন চিঠি

  • নিখোঁজ সিসিডি -র প্রতিষ্ঠাতা   
  • খোঁজ করতে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন
  • সবটাই যেন রহস্য
  • তবে কি এবার তালা পড়বে সিসিডি-তে

debojyoti AN | Published : Jul 30, 2019 7:21 AM IST / Updated: Jul 30 2019, 01:41 PM IST

সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ সিসিডি -র প্রতিষ্ঠাতা। এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি তাঁর, এমনটাই জানাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, মেঙ্গালুরু থেকে নিখোঁজ হন তিনি। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের জামাই ভি জি সিদ্ধার্থ ১৯৯৬ সালে ভারতের অন্যতম এই কফি-চেন সিসিডির প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সিসিডি ভারতের অন্যতম বিখ্যাত একটি সংস্থা। 

সোমবার রাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে নিজের গাড়িতেই ফিরছিলেন তিনি। হঠাৎ তাঁর কাছে একটা ফোন আসে এবং তারপরে কথা বলার জন্য গাড়ি থেকে নেমে যান তিনি, আর তখন থেকেই কার্যত উধাও তিনি। ঘটনার সময় গাড়িটি নেত্রাবতী নদীর ওপরের ব্রিজে দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ির চালক জানিয়েছেন, তিনি কথা বলতে বলতে গাড়ি থেকে নামেন তারপরে অনেকটা সময় কেটে যায় এবং তাঁকে ফিরতে না দেখে গাড়ির চালক তাঁকে ফোন করতে থাকেন। বারবার ফোন করার পরেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর এরপরই সন্দেহ জাগে তাঁর গাড়ি চালকের মনে। তাঁর গাড়ি চালক আশেপাশে খোঁজ শুরু করলে কোথাও তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায়, পুলিশে খবর দেন তিনি। খবর পাঠান তাঁর পরিবারের কাছেও।

 

সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে শুরু করে তল্লাসি। নেত্রাবতী নদীতে নামানো হয় ডুবুরিও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ফলে ঠিক কী হয়েছে এখনও বুঝতে পারছেননা পুলিশের আধিকারিকরা। তবে এখনও জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে হেলিকপ্টার, সেইসঙ্গে অনুসন্ধানে নেমেছে উপকূল রক্ষা বাহিনীও। ফলে পুলিশ আশা করছে খুব শীঘ্রই তাঁর খোঁজ মিলবে। ঘটনা খবর পাওয়া মাত্রই  এস এম কৃষ্ণের বাড়িতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার এবং বিএল শঙ্কর এসে উপস্থিত হয়েছেন। 

 

পুলিশের অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। কারণ তাঁর অন্তর্ধানের পর উদ্ধার করা হয়েছে একটি চিঠি। যেখানে  তিনি তাঁর সমস্ত সিসিডি-র কর্মচারিদের উদ্দেশে লিখেছেন 'আমি একার প্রচেষ্টায় এই ব্যাবসা শুরু করেছিলাম, কিন্তু ৩৭ বছরের চেষ্টাতেও আজকে আমি আমার ব্যাবসা সঠিক পথে চালিত করতে পারলাম না। আমার সমস্ত কর্মচারীর কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।' এছাড়াও তিনি তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন  'আমার ব্যাবসা বহুদিন ধরে লোকসানে চলছিল অনেক চেষ্টাতেও সঠিক পথে আমি চালাতে পারছিলাম না।' কিন্তু ইতিমধ্যেই বহু সংখ্যক কর্মচারী তাঁর অধীনে কর্মরত। আর সেই কারণেই  তিনি ব্যবসা বন্ধ করতেও পারছিলেন না। আয়কর আধিকারিকদের দ্বারাও অপমানিত হয়েছিলেন তিনি। এই সব ঘটনার ফলে বহুদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি, আর তার থেকেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অনুমান পুলিশের।                      

Share this article
click me!