চিনির পাত্রে কীটনাশক পাউডার! মাকে খুন করার পরিকল্পনা কেন করল ১৩ বছরের মেয়ে

অভয়ম ১৮১ মহিলা হেল্পলাইনের একজন কাউন্সেলর বলেন, মোবাইলে ক্রমাগত ব্যস্ত থাকা এই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়েটি এমন করে তার বাবা-মাকে কষ্ট দিতে চায়।

চিনির পাত্রে মেশানো ছিল তীব্র রাসায়নিক যুক্ত কীটনাশক পাউডার। সঙ্গে ছিল ফিনাইল। কোমল পারমার (নাম পরিবর্তিত) পশ্চিম আহমেদাবাদের একজন ৪৫ বছর বয়সী মহিলা বাথরুমের মেঝেতে কীটনাশক পাউডার এবং ফিনাইল জাতীয় তরল খুঁজে পেয়ে হতবাক হয়ে যান। ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান এর পেছনে রয়েছে তার ১৩ বছরের মেয়ে। তাঁর কিশোরী কন্যাই তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানতে পারেন তিনি।

বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি রান্নাঘরের চিনির পাত্রে রাসায়নিক মেশানো গন্ধ পাচ্ছিলেন। বারবার তা ফেলেও দেন। এরপরেই আবিষ্কার করেন এই পরিকল্পনার খবর। সমাধানের জন্য হেল্পলাইনে ফোন করতে বাধ্য হন তিনি। জাতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি খবর অনুসারে, একজন কাউন্সেলর বলেছেন যে মেয়েটির মা তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছিল, যার কারণে ওই কিশোরী খুব হিংস্র হয়ে ওঠে।

Latest Videos

অভয়ম ১৮১ মহিলা হেল্পলাইনের একজন কাউন্সেলর বলেন, মোবাইলে ক্রমাগত ব্যস্ত থাকা এই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়েটি এমন করে তার বাবা-মাকে কষ্ট দিতে চায়। সে চেয়েছিল যে তারা কীটনাশক দিয়ে চিনি দিয়ে খাবে, অন্যথায় মেঝেতে ফেলে রাখা ফিনাইলে পা পিছলে তার বাবা মা আঘাত পাবে। মেয়েটির মা কয়েকদিন আগে তার ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে। একই সঙ্গে ওই কিশোরীর বাবা-মা জানান, প্রায় সারা রাত ফোনে কাটাতেন ওই কিশোরী। তিনি অনলাইনে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করতেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল বা পোস্ট দেখে সময় কাটাতেন। এতে তার লেখাপড়া ও সামাজিক জীবন নষ্ট হতে থাকে।

এই ঘটনা সামনে আসার পর মেয়েটির বাবা-মা হতবাক কারণ তারা স্বপ্নেও এমন ঘটনার কথা ভাবেননি। পরামর্শদাতারা বলেছিলেন যে তারা আরও অবাক হয়েছিলেন কারণ তারা মেয়েটিকে স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার জন্য কোনও কসরত রাখেননি। এই সন্তান তাদের বিয়ের ১৩ বছর কেটে যাওয়ার পর তাদের কোলে আসে। অভয়ম হেল্পলাইনের কোঅর্ডিনেটর ফাল্গুনী প্যাটেল বলেছেন যে হেল্পলাইনের কাছে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর আগে, আমরা দিনে খুব কমই ৩-৪টি কল পেতাম। গত কয়েক বছরে এটি দিনে প্রায় ১২-১৫টি কলে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এই ধরণের ঘটনার সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনা মহামারির কারণে এই বৃদ্ধি ঘটেছে, যখন কিশোর-কিশোরীদের পড়াশোনার জন্য ফোন দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল। মহামারীর আগে, শিশুদের প্রায়ই তাদের বাবা-মায়ের ফোন ঘাঁটতে হত। বাবা-মায়ের রাগের ভয়ে শিশুরা সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য সাইটে যায়নি। এই সময়ে, অনলাইন গেম এবং সোশ্যাল মিডিয়া কিশোর-কিশোরীদের প্রধান দুটি কাজ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হানসাল ভাচেচ বলেন, ফোন কেড়ে নিলে অন্যদের ক্ষতি করা চরম প্রতিক্রিয়া। যদিও প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে যেখানে কিশোররা নিজেদের ক্ষতি করার প্রবণতা দেখায়।

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে মহা মিছিল শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
'রোহিঙ্গারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক তাই তিনি বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না' বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিমিত্রার
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য, কী বললেন তিনি, দেখুন সরাসরি
Narendra Modi Live: আদিবাসী গর্ব দিবস পালনে মোদী, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today