বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে সরকারের তরফ থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া এই ইলেকট্রনিক্স আইটেমগুলিকে এই শর্তে আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে যে আমদানিকৃত পণ্যগুলি কেবলমাত্র উল্লিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ এগুলো বিক্রি করা হবে না।
ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার তেসরা অগাস্ট থেকে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক থেকে একটি নোটিফিকেশনও জারি করা হয়েছে। ডিজিএফটি জানিয়েছে যে নিষিদ্ধ আইটেম আমদানির জন্য একটি বৈধ লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে তবেই আমদানি সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, এটি এখন পর্যন্ত মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে নেওয়া একটি খুব বড় সিদ্ধান্ত। ডিজিএফটি অনুসারে, বৈধ লাইসেন্সের অধীনে এই সীমাবদ্ধ আইটেমগুলির আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, HSN 8741-এর অধীনে থাকা ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, অল-ইন-ওয়ান ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং আল্ট্রা স্মল ফর্ম ফ্যাক্টর কম্পিউটার এবং সার্ভার আমদানি অবিলম্বে নিষিদ্ধ। এই সীমাবদ্ধ আইটেমগুলির আমদানি শুধুমাত্র বৈধ লাইসেন্সের অধীনে অনুমোদিত হবে। এর মধ্যে ই-কমার্স পোর্টালের মাধ্যমে বা পোস্ট বা কুরিয়ারের মাধ্যমে কেনা কম্পিউটারগুলিও রয়েছে৷ প্রযোজ্য শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে এই পণ্য আমদানি করতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে সরকারের তরফ থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া এই ইলেকট্রনিক্স আইটেমগুলিকে এই শর্তে আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে যে আমদানিকৃত পণ্যগুলি কেবলমাত্র উল্লিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ এগুলো বিক্রি করা হবে না।
এর সাথে, উল্লিখিত পণ্যটি তার উদ্দেশ্য পূরণ করার পরে হয় ব্যবহারের বাইরে নষ্ট করে দেওয়া হবে বা পুনরায় রপ্তানি করা হবে। দেশে যখন মেক ইন ইন্ডিয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে এমন সময়ে ইলেকট্রনিক্স সংক্রান্ত এই জিনিসগুলির ব্যাপারে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, সময়ে সময়ে সংশোধিত ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। আসলে, ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করা বা দেশের বাইরে যাওয়া প্রতিটি যাত্রীকে কাস্টমসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
মেক ইন ইন্ডিয়া প্রচারের মাঝখানে, সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় নির্মাতাদের পাশাপাশি এই জাতীয় বিদেশী সংস্থাগুলিকে উপকৃত করবে, যারা ক্রমাগত দেশে ইউনিট উত্পাদন করছে, স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করছে এবং অন্যান্য দেশে এই পণ্যগুলি রপ্তানি করছে। তা ছাড়া এই পদক্ষেপের প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতেও দেখা যাবে, কারণ বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।
উল্লেখ্য প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও মেক ইন ইন্ডিয়া বড় ভূমিকা নিয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে ভারত আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিদেশে রপ্তানি করেছে। মোট ৮৫টির বেশি দেশে এই সরঞ্জাম বিক্রি করেছে ভারত। যা ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষের থেকে ১০ গুণ বেশি। প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনাকে ভারতীয় প্রতিভার আত্মপ্রকাশ ও মেক ইন ইন্ডিয়ার এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় বলে অভিহিত করেছেন।