আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ রয়েছে। এই ঘটনার পর বাংলার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এরই মধ্যে এই অনলাইন সমীক্ষা চালানো হয়। রাতের ডিউটির সময় ৪৫ শতাংশ মানুষের ডিউটি রুম পাওয়া যায় না বলেও জানা গেছে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসক রাতের ডিউটিতে নিরাপদ বোধ করেন না। তাদের অধিকাংশই মহিলা। এমনকি অনেক মহিলা বলেছেন যে ডিউটিতে যাওয়ার সময় তাদের সাথে ছোট অস্ত্র বা পেপার স্প্রে নিয়ে যেতে হয়।
আরজি কর হাসপাতালে নাইট শিফটে এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ রয়েছে। এই ঘটনার পর বাংলার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এরই মধ্যে এই অনলাইন সমীক্ষা চালানো হয়। রাতের ডিউটির সময় ৪৫ শতাংশ মানুষের ডিউটি রুম পাওয়া যায় না বলেও জানা গেছে।
সমীক্ষায় কারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন?
গবেষণায় ২২ টিরও বেশি রাজ্যের ডাক্তারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের কম, এর মধ্যে ৬১ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থী বা স্নাতক প্রশিক্ষণার্থী ছিল। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ মহিলা ছিলেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে অনেক ডাক্তার রাতের শিফটের সময় নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। ২০-৩০ বছর বয়সী ডাক্তারদের মধ্যে এই ভাবনা বেশি কাজ করছে বলে সমীক্ষা জানাচ্ছে।
নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ
এই সমীক্ষায় নিরাপত্তা বাড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, যথাযথ আলো রাখা, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন (সিপিএ) কার্যকর করা, রোগীর সঙ্গে পরিবারের লোকের সংখ্যা কমানো, অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করা এবং তালা সহ সুরক্ষিত ডিউটি রুমের মতো মৌলিক সুবিধা দেওয়া।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।