চুয়ান্ন বছরে প্রথমবার। ১৯৬৩ সালের পরে ২০১৭ সালেই ভারতে হত্যাকাণ্ডের বা খুনের ঘটনা সবথেকে কম ছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যায় ভারতের খুনের ঘটনার হার ২.৪৯ শতাংশ। ১৯৬৩ এই হার ছিল ২.৩৪ শতাংশ। ওই একটি বছর বাদ দিলে ১৯৫৭ সালের পরে দেশে খুনের ঘটনার হার কখনওই এতটা নামেনি। ১৯৯২ সালে তা পৌঁছে গিয়েছিল ৫.১৫ শতাংশে।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, প্রতি বছরই দেশে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও খুনের ঘটনা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। তবে শুধু ভারত নয়, এই প্রবণতা বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই দেখা গিয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েক বছর বাদ দিলে ১৯৫৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত চোদ্দ বছরের মধ্যে খুনের ঘটনা সবথেকে কম ঘটেছিল। ওই সময়কালে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যার নিরিখে খুনের হার কখনওই তিন শতাংশ পেরোয়নি।
আরও পড়ুন- সব রাজ্যকে পিছনে ফেলল উত্তরপ্রদেশ, মহিলা নির্যাতনে প্রথম স্থানে যোগীর রাজ্য, তৃতীয় বাংলা
আরও পড়ুন- কলকাতা সবথেকে নিরাপদ শহর, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট
১৯৯২ সালে দেশে খুনের ঘটনা সবথেকে বেশি বেড়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে অবশ্য প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যায় তা সবসময়ই তিন শতাংশের নীচে থেকেছে। ১৯৯২ সালে উত্তরপ্রদেশে ১২,২৮৭টি হত্যার ঘটনা ঘটে। যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক ছিল। এর পরেই ছিল বিহার (৫,৭৪৩), মধ্য়প্রদেশ (৩৭৫৩), মহারাষ্ট্র (৩,৩৩৮) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (২,৮৪১)। যদিও ১৯৯২ সালের পর থেকে সবকটি রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও খুনের ঘটনায় লাগাম পড়ানো গিয়েছে।
সাধারণত মনে করা হয়, আর্থিক অস্থিরতা থেকে অপরাধের দিকে ঝোঁকে মানুষ। আবার প্রাণদণ্ডের সাজাতে ভয় পেয়ে গিয়েও খুনের মতো অপরাধ থেকে বিরত থাকে অনেকে। কিন্তু গোটা বিশ্বের প্রবণতা দেখলে আবার এই তত্ত্ব অনেক সময় মেলে না। কারণ অর্থনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়া এবং প্রাণদণ্ডের সাজা কমে যাওয়া সত্ত্বেও গোটা বিশ্বেই খুনের ঘটনা হ্রাস পেয়েছে।