নলিনীকে সম্মানিত করার অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া। প্রধানমন্ত্রী তারপর ক্যাপশন সহ ছবিগুলি রিটুইট করেন। তিনি লেখেন অত্যন্ত গঠনমূলক সৌজন্যের ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশের উনার সাত বছর বয়সী একটি মেয়ের সম্পর্কে টুইট করেছেন। এই সাত বছরের কন্যা টিবি-মুক্ত ভারত অভিযানকে সমর্থন করার জন্য তার জমানো টাকা দান করেছে। হিমাচলের রাজ্যপাল শিব প্রতাপ শুক্লা নলিনী নামের এই কিশোরীকে সম্মানিত করেছেন।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (MoHFW) টিবি মুক্ত ভারত অভিযানের অধীনেআওতায় জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে যার লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে SDG শেষ টিবি লক্ষ্য পূরণ করা। ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে এই রোগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে কোভিড ১৯ দেশে আছড়ে পড়ার পরই এই রোগের আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগের মত বেড়ে চলেছে। প্রসঙ্গত জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রার পাঁচ বছর আগেই যক্ষ্মামুক্ত অভিযান করে সচেতনতা ও রোগমুক্তি করার চেষ্টা চালাবে ভারত। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতেই সরকার কমিউনিটি সাপোর্ট প্রোগ্রাম চালু করেছে। যার অধীনে যক্ষ্মা রোগীদের নির্বাচিত প্রতিনিধি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা দত্তক ও যত্ন নেওয়া যাবে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে বর্তমানে চিকিত্সাধীন মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট-সহ মোট ১৩,৫১,৫৫০ যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। তার মধ্যে ৯,০৪,৪২৫ রোগী দত্তক নেওয়ার জন্য সম্মতি পেয়েছে।
এদিন নলিনীকে সম্মানিত করার অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া। প্রধানমন্ত্রী তারপর ক্যাপশন সহ ছবিগুলি রিটুইট করেন। তিনি লেখেন অত্যন্ত গঠনমূলক সৌজন্যের ছবি।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "#নি-ক্ষয়মিত্র প্রকল্প যা টিবিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পুষ্টি, অতিরিক্ত ক্লিনিকাল এবং বৃত্তিমূলক সহায়তা প্রদান করে, ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের #টিবিমুক্তভারতের স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।" অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "নলিনী সিং-এর মতো অল্প বয়স্ক ছেলেমেয়েদের তাদের বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে একটি পার্থক্য তৈরি করে, এই ছবি সত্যিই হৃদয়স্পর্শী।"
উল্লেখ্য যক্ষ্মা রোগীদের যত্ন ও সেবা করার জন্য এগিয়ে আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে ‘নি-ক্ষয় মিত্র‘ বলা হয়। ব্লক, জেলা বা এমনকি একজন রোগীকেও দত্তক নেওয়া যেতে পারে। তাদের পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করা, পুষ্টি জোগানো ও চিকিত্সায় সহায়তা প্রদান করতে পারে। উত্তরপ্রদেশের ‘নিক্ষয় মিত্র’দের অধীনে ইতিমধ্যে ৪,৪১৬জনকে দত্তক নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশে ২,২৮৬জন ও মহারাষ্ট্রে ৬৪৩জনকে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুষ্টি, চিহ্নিতকরণ, পুষ্টি ও চিকিত্সার সম্পূরক ও বৃত্তিমূলক সহায়তা, এই চারটি বিষয়ে বিশেষ করে আলোকপাত করা হচ্ছে।