সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজির ব়্যাকেট চালাচ্ছেন।
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন রাহুল গান্ধী। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের এক দিন পরেই রাহুল গান্ধী কড়া মন্তব্য করেন। তিনি নির্বাচনী বন্ডকে বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজির ব়্যাকেট বলে অভিহিত করেন। আর এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজির ব়্যাকেট চালাচ্ছেন। তবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল আরও বলেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে টাকা বিজেপি সংগ্রহ করেছে তা দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে বিভক্ত করতে ও বিরোধী সরকারগুলি ফেলে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করছে। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী আরও বলেন নির্বাচনী বন্ডের টাকা ব্যবহার করে মরাহাষ্ট্রের শিবসেনা ও এনসিপির মত দলগুলিকে বিভক্ত করতে ও সরকার ফেলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনী বন্ডের ব্যবহার করা হয়নি। কর্পোরেট ভারতের সবথেকে বড় তোলাবাজির সাক্ষী নির্বাচনী বন্ড বলেও তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি আরও বলেন, যেসব সংস্থাগুলি বিজেপিকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করেনি। কিন্তু যারা অর্থ সাহায্য করেনি তাদের ওপর ইডি সিবিআই তদন্তের নামে হয়রানি করা হয়েছে। এই স্কিমের মাধ্যমে বেআইনিভাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী সংগঠিত চুরির নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাহুলের কথায় এর থেকে দেশবিরোধী আর কিছুই হতে পারে না। কংগ্রেস এলে এজাতীয় ঘটনা আর ঘটনা বলেও তিনি গ্যারান্টি দেন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেন, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল ২০১৮ সাল থেকে মোট ২২,২১৭টি বন্ড ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র ১৮৮৭১টি বন্ডের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখান থেকে গায়েব ৩৩৪৬টি বন্ডের বিবরণ। কংগ্রেস জানতে চেয়েছে এগুলিকে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া প্রাদান করেনি নির্বাচন কমিশনকে। কংগ্রেসের আরও দাবি মোদী সরকার কাদেরকে ঢাল করতে চাইছে - তা তদন্ত সাপেক্ষ। বন্ডগুলির সঙ্গে আইটি ও ইডির কোনও অভিযানগুলিকে যুক্ত করা হয়েছে কিনা তা জানা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী বন্ডের অনুদান দেওয়া বেশিরভাগ সংস্থাকেই নিশানা করেছে ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট বা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাই বাধ্য হয়েই নির্বাচনী বন্ড কিনছে সংস্থাগুলি। এই নিয়ে কংগ্রেস দুটি দাবিও জানিয়েছে, একটি তারা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত চেয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির অ্যাকান্ট বন্ধ করে দেওয়ার দাবি রয়েছে।