বিস্তারিত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। তিনি সারনাথের অশোকস্তম্ভের পাশাপাশি নতুন ব্রোঞ্জের তৈরি আশোকস্তম্ভের ছবি পোস্ট করে বিতর্ক সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
সংসদ ভবনে যে জাতীয় প্রতীকটি বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অশোকস্তম্ভটি উন্মোচন করেন। প্রথম থেকেই বিরোধীরা জাতীয় প্রতীকের উন্মোচন অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ এই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ না জানানো গণতান্ত্রের অবমাননা। তবে সব থেকে বড় বিষয় হল সারনাথের অশোকস্তম্ভ যা আমাদের জাতীয় প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত তার থেকে সম্পূর্ণ আদালা নতুন সংসদ ভবনে বসানোর জন্য যে জাতীয় প্রতীক তৈরি হয়েছে সেটি। বিরোধী প্রথম থেকেই এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ নতুন যে ব্রোঞ্জের মূর্তিটি তৈরি হয়েছে সেটি অনেক বেশি আগ্রাসী। যা সারনাথের অশোকস্তম্ভে নেই। সারনাথের অশোকস্তম্ভ অনেক বেশি সৌম্য দর্শণ ও শান্ত প্রকৃতির। যদিও বিজেপি এই বিষয়ে আগেই নিজেদের মত জানিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন যারা সংবাধিনের নিয়ম ভেঙেছে তাদের থেকে সাংবিধানিক পাঠ নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
তবে গোটা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। তিনি সারনাথের অশোকস্তম্ভের পাশাপাশি নতুন ব্রোঞ্জের তৈরি আশোকস্তম্ভের ছবি পোস্ট করে বিতর্ক সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। হরদীপ সিং পুরীর সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন "এটি দৃষ্টিভঙ্গির অনুভূতি। আমাদের সামনে যে কোনও বস্তুর সৌন্দর্য আমরা যা দেখি তা চোখে পড়ে। একইভাবে শান্ত এবং রাগান্বিত। সারনাথে অশোক স্তম্ভের উপর জাতীয় প্রতীকটি মাত্র 1.6 মিটার উঁচু। নতুন সংসদ ভবনটি ঠিক 6.5 মিটার উঁচু”।
তিনি আরও বলেছেন যদি সারনাথের প্রতীকের মত একই উচ্চতার কোনও জাতীয় প্রতীক কোনও ভবনে বসানে হয় তাহলে তা দূর থেকে দেখা যাবে না। নতুন প্রতীকটি মাটি থেকে ৩৩ মিটার ওপরে রয়েছে। আর সারনাথের প্রতীকটি মাটির ওপরেই বসানো হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন দুটি প্রতীকের মধ্যে কোনও কাঠামোগত পার্থক্য নেই। তিনি বলেছেন কেউ যদি সারনাথের প্রতীকটি উঁচু থেকে দেখেন তাহলে একই রকমভাবে সেটিও শান্ত বা রাগান্বিত দেখায়। দুটি প্রতীকের আকৃতিগত পার্থক্য ছাড়া আর কোনও পার্থক্য নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন 'সারনাথে অশোকের স্তম্ভে সিংহের চরিত্র ও প্রকৃতিকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করা ভারতের জাতীয় প্রতীকের নির্লজ্জ অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়!'
'শুভেন্দু তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন', মদন 'বাণ' বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে
অশোকস্তম্ভ বিতর্ক- জাতীয় প্রতীকের অপমান বলে তৃণমূলের আক্রমণ মোদী সরকারকে, মত দিল ডিজাইনাররা