হিমাচল প্রদেশে ধ্বংসযজ্ঞ, তাসের ঘরের মত ভাঙছে বাড়ি- ২দিনে মৃত বেড়ে ৬০

ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার সিমলায় তাদের বাড়ির ছাদে আটকে পড়া পরিবারগুলোকে উদ্ধার করেছে। ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের পরে, এসডিআরএফ দল কিছু লোক আটকে থাকার তথ্য পায়, তারপরে তারা মানুষকে সাহায্য ও উদ্ধার করতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্য নেয়।

হিমাচল প্রদেশে প্রকৃতির তাণ্ডব অব্যাহত। ১৩ আগস্ট থেকে টানা বৃষ্টির কারণে এখানে শুরু হওয়া বিপজ্জনক ভূমিধসের ধারাবাহিকতা বুধবারও থামেনি। রাজধানী সিমলার পরিস্থিতি সবথেকে ভয়াবহ। কয়েকশো মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র বা মন্দিরে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছেন। রবিবার থেকে টানা বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে উদ্ধার অভিযানও জোরদার করা হয়েছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার সিমলায় তাদের বাড়ির ছাদে আটকে পড়া পরিবারগুলোকে উদ্ধার করেছে। ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের পরে, এসডিআরএফ দল কিছু লোক আটকে থাকার তথ্য পায়, তারপরে তারা মানুষকে সাহায্য ও উদ্ধার করতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্য নেয়। প্রকাশিত ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কীভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর জওয়ানরা একে একে জীবন বাঁচাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, যে বাড়ির লোকজনকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়েছে তার চারিদিক জলে পূর্ণ।

Latest Videos

এদিকে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বক্তব্য সামনে এসেছে। তিনি বলেন, কাংড়া থেকে ৬৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কাংড়ায় এখনও প্রায় ১০০ জন আটকা পড়েছে, উদ্ধার অভিযান চলছে। সিমলায় আরও একটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের পরিকাঠামো পুনর্বিন্যাস করতে আমাদের প্রায় এক বছর সময় লাগবে।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সিমলার কৃষ্ণ নগরের বিষ্ণু মন্দির এলাকায় ফাটল দেখা দিতে শুরু করে। বিকেল ৪টার দিকে এখানে প্রচণ্ড ভূমিধস হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে সাত-আটটি ঘর তাসের মতো মাটিতে ভেসে যায়। এর মধ্যে কিছু বাড়ি ছিল দুই ও তিন তলার।

২০১৪ সালে, ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পৌর কর্পোরেশন সিমলার একমাত্র কসাইখানাটিও ভূমিধসে চাপা পড়ে যায়। ভূমিধসে চাপা পড়ে সেখানে কর্মরত দুই যুবক। দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিধসের কবলে এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখের সামনে ভেসে যায় মানুষের ঘরবাড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো এলাকা ধসে পড়ে।

খবর অনুযায়ী, গত ২ দিনে রাজ্যে বৃষ্টির কারণে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, রাজ্য সরকার হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ক্লাস স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৭ থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং ২০ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার বন্ধ থাকবে।

Share this article
click me!

Latest Videos

চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
জঙ্গি গ্রেফতারে কড়া বার্তা মিঠুনের | Mithun Chakraborty #shorts #mithunchakraborty #shortsvideo
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari