সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে রাজ্যের বাম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেছেন, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে কেরলের মানুষ সবথেকে কম দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে।
নীতি আয়োগের (NITI Aayog) পক্ষ থেকে এই প্রথম জাতীয় দারিদ্র্য সূচক (National Poverty Index ) প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় দেশের শেষতম দরিদ্র রাজ্য কেরল। এই রাজ্যে দরিদ্র সীমার নিচে বাস করেন মাত্র ০.৭১ শতাংশ মানুষ। সার্ভের এই রিপোর্ট নিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দিয়েছিলেন। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে রাজ্যের বাম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেছেন, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে কেরলের মানুষ সবথেকে কম দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। সামাজিক কল্যাণের প্রতি রাজ্যের সরকারের প্রতিশ্রুতি পালন আর দায়বদ্ধতাই এই তকমা অর্জনে সাহায্য করেছে। আগামী দিনে এই রিপোর্টকার্ডই রাজ্যের দারিদ্র্য দূরীকরণে বামে সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও উৎসহ দেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যের এই সাফল্যের জন্য পুরো কৃতিত্বই তিনি বর্তমানের বাম সরকারকে দিয়েছেন।
কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না নীতি আয়োগের উদ্যোগে মাল্টিডায়মেনশনাল প্রভার্টি ইন্ডেক্স বা এমপিআই (MPI) ২০২১ এর রিপোর্টে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ২০১৫-১৬ জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে চতুর্থ সার্ভে। এই সার্ভের রিপোর্টি থেকেই প্রথম দারিদ্র সূচক প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। অথচ পিনারাই বিজয়নের সরকার কেরলে প্রথম ক্ষমতায় এসেছিল ২০১৬ সালে। তার আগে কেরলের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউটিএফ। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের নেতা ওমান চণ্ডি। তাই এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্বের দাবিদার পিনারাই বিজয়ন নন। তেমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রমেশ চান্নিথাল্লা। পিনারাই বিজয়নের সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেওয়ার পরেই কংগ্রেস নেতা একটি পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি পিনারাইয়ের ভুল শুধরে দেন।
Al-Zawahiri: আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহিরির নতুন ভিডিও, রাষ্ট্রসংঘকে তুলোধনা জঙ্গি নেতার
Covid 19: করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের আতঙ্ক, পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
Oil price: করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের দাপট, প্রভাব ফেলল জ্বালানি তেলের দামের ওপরেও
নীতিআয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী সবথেকে বেশি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছে বিহারে। এই রাজ্যের ৫১.৯১ শতাংশ মানুষই রয়েছে দারিদ্রসীমার নিচে। দ্বিতীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ড। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশ। এমপিআই এর মান নির্ধারণ করা হয়েছে-স্বাস্থ্য, সম্পদ, শিক্ষা, ও জীবনধারনের মানের ওপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে শিশুদের স্কুল যাওয়া, স্কুলে উপস্থিত থাকা, রান্নাঘর, শৌচাগার, পানীয় জল, বিদ্যুতায়ন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ওপর।
নীতি আয়োগের রিপোর্টে বলা হয়েছে শুধু দারিদ্র্য দূরিকরণ সাক্ষরতার দিক থেকেই ভালো কাজ করেছে কেরল। এই রাজ্যের ১০০ শতাংশ মানুষই সাক্ষর। দারিদ্র কম রয়েছে গোয়া, তালিমনাড়ু, পঞ্জাবেও।