আইএনএস রাজলি নৌ ঘাঁটিতে আইএনএস ৩১২ স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন অজিতেন্দ্র কান্ত সিং বলেছেন, ৩১২ স্কোয়াড্রন ছাড়া কোনও জাহাজ বা সাবমেরিন ভারত মহাসাগর অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
ভারতীয় নৌবাহিনী বিমান ঘাঁটি INS রাজলি থেকে P-8I অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধ এবং সামুদ্রিক নজরদারি বিমানের ঝলক দেখিয়েছে। P-8I কে ভারতীয় নৌবাহিনীর গেম চেঞ্জার এয়ারক্রাফটও বলা হয়। এই বিমানটি লাদাখ সেক্টরের হাই অলটিউড এলাকা থেকে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
শুধু তাই নয়, এটি ডোকলাম সঙ্কটের সময় সিকিম-ভুটান সেক্টরে চিনাদের নয়া নির্মাণকেও তুলে ধরেছে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে বিদেশী যুদ্ধজাহাজ এবং গবেষণা জাহাজগুলিকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করেছে। এই বিমানটিকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের অভিভাবক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নজরদারির জন্য এই বিমানটি গত ১০ বছরে ৪৪ হাজার ঘন্টারও বেশি উড়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী বর্তমানে ১২টি বিমান পরিচালনা করে এবং ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ছয়টি বিমান কেনার পরিকল্পনা করছে৷
আইএনএস রাজলি নৌ ঘাঁটিতে আইএনএস ৩১২ স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন অজিতেন্দ্র কান্ত সিং বলেছেন, ৩১২ স্কোয়াড্রন ছাড়া কোনও জাহাজ বা সাবমেরিন ভারত মহাসাগর অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শত্রুদেশের যে কোনও সাবমেরিন এর নজরদারিতে পড়ে যাবে। আঞ্চলিক হামলা ঠেকাতে এবং অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা জোরদার করতে ভারত এই অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করবে। নিজস্ব সেনাবাহিনীতে এই যুদ্ধ উপকরণগুলি যুক্ত করতে ভারতের কোনও অসুবিধা হবে না।’
কমান্ডার জিষ্ণু মাধবন বলেন, 'P-81 বিমান ভারতীয় নৌবাহিনীর চোখ-কান হয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিমানটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক মিশনে অংশ নিয়েছে, যা ভারতীয় সামুদ্রিক যোদ্ধাদের ভারত মহাসাগর অঞ্চলে বেশ শক্তিশালী জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। এই বিমানের প্রশংসা করে তিনি একে গেম চেঞ্জার বিমান এবং সামুদ্রিক নজরদারির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেছেন।