মুষলধারায় বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তরাখণ্ড, হিমালচল প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব-সব একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন অমিত শাহ। উত্তর ভারতের অধিকাংশ নদী বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। এখনও পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রশাসনের। উত্তর ভারতের অধিকাংশ শহরে জলে ভাসছে রাস্তা। আবাসিক এলাকা জনমগ্ন হয়ে রয়েছে। রবিবার ছুটির দিন থাকালেও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টির আতঙ্ক
হিমালচল প্রদেশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনও পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির কারণে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালই হিমাচল প্রদেশের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চাম্বা, কাংড়া, সিমলা আর কুলু জেলতে। হিমাচল প্রদেশে একটি ব্রিজ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে নদীর জল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।
দিল্লি
দেশের জাতীয় রাজধানী জলমগ্ন। প্রগতিময়দান -সহ একাধিক এলাকায় জলমগ্ন। রবিবার ছুটির দিন হলেও দীর্ঘ যানজটের সাক্ষী দিল্লির বাসিন্দারা। বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে জমুনার জল। একাধিক ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। নিচু স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দিল্লিতে ৩৬ ঘণ্টায় ১৯৫. ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গোটা জুলাই মাসেও এতটা বৃষ্টি হয় না দিল্লিতে।
পঞ্জাব ও হরিয়ানা
এই রাজ্যের পরিস্থিতিও সঙ্গী। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন অমিত শাহ। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করে। প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন। পঞ্জাবের রোপার জেলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০০ জনকে সরানো হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। একাধিক রাস্তা আর ব্রিজ চলাচলের অযোগ্য হয়েগেছে। স্থানীয়দের কথায় গত ৪৫ বছরে পঞ্জাবের মানুষ এমন বৃষ্টি দেখেনি। প্রায় একই পরিস্থিতি হরিয়ানায়। সেখানেই একাধিক জায়গা জলমগ্ন।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিধস
জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় ভয়ঙ্কর ভূমিধসের কবলে পড়ে একটি বাস। দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
ট্রেন বাতিল-
প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তর ভারতগামী প্রায় ১৭টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। একাধিক এলাকায় রেল লাইনের ওপর দিয়ে জল বইছে। ব্যহত হয়েছে রেল পরিষেবা। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রেল কর্তৃপক্ষও। কবে থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা এখনও বলতে পারছে সংশ্লিষ্ট কোনও পক্ষই।