গত অগস্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর থেকে। তার আগে থেকেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে কাশ্মীরের নেতা-নেত্রীদের। যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। ওমরকে জন সুরক্ষা আইনে বন্দি করে রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন সারা আবদুল্লাহ পাইলট।
সারা অভিযোগ করেছেন, তাঁর দাদাকে এভাবে গ্রেফতার করার ফলে তাঁর বাক স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই ধরণের পদক্ষেপ সমস্ত রাজনৈতির প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে ধারাবাহিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'চলে যান পাকিস্তান', সিএএ-এর প্রতিবাদ নিয়ে এবার কবিকন্যাকে হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের
গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। তার আগে থেকে গৃহবন্দি করা হয়েছে ওমরকে। একই অবস্থা রাজ্যের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিরও। গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে ওমরের বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে কাউকে আটক করা হলে কোনো বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই ২ বছরের জন্য আটকে রাখা যায়। সারার বক্তব্য, গত সাত মাসে আরও অনেক রাজনীতিকের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা করা হয়েছে। সরকারের বক্তব্য, যারা তার পলিসির বিরোধিতা করে, তারা দেশদ্রোহী। এই মনোভাব গণতন্ত্রের বিরোধী। সরকার সংবিধান মানছে না।
ওমরকে মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আগেই দাবি উঠেছিল। এবার ভাইয়ের অবিলম্বে মুক্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সারাও। ওমরের বোনের দাবি, আমার ভাইয়ের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। তাঁর বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সরকার অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে প্রত্যেক বিরোধীকে চুপ করিয়ে দেওয়া যায়।
ওমর সম্পর্কে সারা বলেছেন, “আটক হওয়ার আগে আমার ভাই যে বিবৃতি দিয়েছেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ পোস্ট করেছেন, তাতে বার বার শান্তি ও সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জন নিরাপত্তার ক্ষতি হওয়া সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, ওমরকে কেন আটক করে রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে একটি নথি প্রকাশ করেনে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। সেই নথিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “কাশ্মীর উপত্যকা-সহ হাতে গোনা কয়েকটি জেলায় ওমর আবদুল্লার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। সেই প্রভাব সবটাই নেতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওমরের এই প্রভাব ভারতের জাতীয় সংহতি, কাশ্মীরের ভারতভুক্তির পক্ষে কোনো উপকারেই লাগবে না।”