দিল্লির উপকণ্ঠে যখন ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে কৃষক আন্দোলন তখন আরও একবার নিজের কৃষক দরদী ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় বেছে নিয়ে বড়দিনকে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা করবেন বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী-কিষাণ প্রকল্পের পরবর্তী ধাপটি প্রকাশ করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৮০ মিলিয়ন কৃষকের মাধ্যে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরাসরি বিলি করবেন।
২০১৯ সালে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম দফায় কৃষকদের আর্থিক সাহায্য করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছিন ওই দিন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের সমস্যা সুবিধে অসুবিধে নিয়ে আলোচনা করবেন। কী ভাবে কৃষকদের আরও বেশি উন্নতি সাধন করা যায় তা নিয়েও তিনি কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছেন। দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলন ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে। আন্দোলনের গণ্ডী আর পঞ্জাব-হরিয়ানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রসহ একাধিক রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিতে চলেছেন।
'কেন্দ্র সতর্ক রয়েছে ভয় পাবেন না', ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন নিয়ে আশ্বাস ভারতের ...
ভালো ফলের জন্য মেটাতে হবে যৌন চাহিদা, এমন শর্ত দিয়ে গারদের ওপারে মাস্টারমশাই ...
প্রধানমন্ত্রী-কিষাণের অধীনে সরকার বৈধ তালিকাভুক্ত কৃষকদের বছরে ৬হাজার টাকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। প্রতি চার মাস অন্তর ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার হবে বলেও জানিয়েছিল। তালিকাভুক্ত কৃষকরা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি। এই টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাওয়ার কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন এই প্রকল্প থেকে কৃষকরা কী কী লাভ পাচ্ছেন তা যেমন খতিয়ে দেখবেন তেমনই বাজেটের আগে কৃষকদের জন্য কী কী সুবিধে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বড়দিনে আরও একবার নতুন তিনটি কৃষি আইনের উপকারিতার কথাও কৃষকদের জানাবেন। কারণ তিনি বারবারই বলছেন নতুন তিনটি কৃষি আইনের পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছেন।