সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর এক ট্যুইট ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছিল। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার এই ট্যুইট ঘিরে শোরগোল পরে যায় নেটিজেনদের মধ্যে। ট্যুইটার থেকে, ইনস্টাগ্রাম, ফেবসুব, ইউটিউব সবেতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অজস্র অনুগামী রয়েছেন। তিনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ অ্যাকটিভ। নিয়মিত ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা, মনের ভাব জানাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেন মোদী। এহেন প্রধানমন্ত্রী কেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অবসর নিতে চাইছেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে। অবশেষে নিজের তৈরি করা রহস্যের সমাধান করলেন খোদ মোদীই।
সোমবার ট্যুইট করে মোদী লিখেছিলেন, আগামী রবিবার তিনি সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ছেড়ে দিতে চান। কেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে চান, মঙ্গলবার দুপুরে ট্যুইটারে সেই কারণ নিজেই জানালেন তিনি। একদিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে চাইছেন মোদী। আর সেটি নারী দিবস উপলক্ষে।
ট্যুইটারে মোদী লেখেন, ‘এই ‘নারী দিবসে’ আমি আমার সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট উৎসর্গ করলাম সেই সব নারীদের, যাঁদের জীবন আর কাজ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে৷ এর ফলে লক্ষ লক্ষ মহিলার মধ্যে নতুন করে আরও কাজের উৎসাহ বাড়বে৷ আপনিও কি এমন একজন মহিলা, যিনি অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন? বা এমন কাউকে চেনেন যাঁর কাজ অনুপ্রেরণা জোগায়? তাহলে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিন৷’
আরও পড়ুন: ছাত্রের বাবার ধরা পড়েছে করোনা, আতঙ্কে নয়ডায় বন্ধ হল স্কুল, বাতিল পরীক্ষা
আগামী ৮ তারিখ বিশ্বজুড়ে পালিত হবে 'বিশ্ব মহিলা দিবস'। তাই যাঁদের জীবন ও কাজ প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করে চলেছে সমাজকে, তাঁদের জন্যই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ছেড়ে দিতে চলেছেন মোদী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মোদী-কেজরি সাক্ষাৎ, আলোচনায় উঠে এল দিল্লি হিংসা থেকে করোনা ভাইরাস
ট্যুইটের সঙ্গে তিনি একটি ছবিও শেয়ার করেছেন৷ যে ছবিতে লেখা রয়েছে এই বিশেষ কর্মসূচির ঘোষণা৷ সিইন্সপায়ারআস হ্যাশ ট্যাগে এই বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে৷ যে মহিলারা অনুপ্রেরণা যোগান তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তাঁদের গল্প শেয়ার করতে পারবেন এখানে ৷ এমনকি অনুপ্রাণিত করেন এমন কোনও মহিলার গল্প যদি কেউ শেয়ার করতে চান, তাহলেও এই ট্যাগে পোস্ট করা যাবে৷ এছাড়া ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামেও এই পোস্ট করা যেতে পারে৷ কেউ যদি ভিডিও শুট করতে চান, তাও করতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে পোস্ট করতে হবে ইউটিউবে৷