দেশে কপর্দক শূন্য হতে চলেছে এক তৃতীয়াংশ পরিবার, চতুর্থ দফার লকডাউন শুরুর আগেই আশঙ্কার মেঘ

  • সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এলে দেশের ভয়ঙ্কর আর্থিক অবস্থা
  • ৮৪ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় কমে গিয়েছে
  • কর্মক্ষম নাগরিকের এক চতুর্থায়ংশ ইতিমধ্যে কর্মহীন
  • আগামী সপ্তাহের মধ্যে রসদ শেষ হচ্ছে এক তৃতীয়াংশ পরিবারের 

Asianet News Bangla | Published : May 13, 2020 3:41 AM IST / Updated: May 13 2020, 09:18 AM IST

 করোনা সংক্রমণে দেশের অর্থনীতি বেহাল। সেই অর্থনীতিকে টেনে তুলতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্দেশ্য আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা। কেন্দ্র যখন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করছে তখনি এক চরম আশঙ্কার কথা শোনাল সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনমি। তাদের করা গবেষণা অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশের এক তৃতীয়ংশের বেশি পরিবার কপর্দক শূন্য হতে চলেছে।

দেশে ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। বর্তমানে ভারতে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। এই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা আগামী ১৭ মে। তবে লকডাউনের মেয়াদ যে বাড়ছে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মঙ্গলবারই সেই ইজ্ঞিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনমির গবেষণা বলছে, ইতিমধ্যে ৮৪ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় কমে গিয়েছে। পাশাপাশি দেশের এক চতুর্থাংশ কর্মক্ষম মানুষ ইতিমধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। 

করোনার জেরে বন্ধ বিমান চলাচল, দেউলিয়া ঘোষণা করা হল বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীন এয়ারলাইন্সকে

১৭ মের পর কী চান রাজধানীর মানুষ, দিল্লিবাসীর কোর্টেই এবার বল ঠেলে দিলেন কেজরি

স্পর্শ ছাড়াই অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে জীবাণুমুক্ত মোবাইল ও টাকা, যন্ত্র বানিয়ে তাক লাগাল ডিআরডিও

সিএমআইই-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, " গোটা দেশে ৩৪ শতাংশ ভারতীয় পরিবারের হাতে যা সঞ্চয় আছে তাতে আর টেনেটুনে আর এক সপ্তাহ চলা সম্ভব।" এই অবস্থায় কম আয় সম্পন্ন পরিবারগুলির দিকে সাহায্যের হাত না বাড়ালে সেগুলি ভেসে যেতে পারে বলেই সতর্ক করেছেন তিনি। 

সিএমআইই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মার্চ মাসের ২১ তারিখ যেখানে পরিবারগুলির বেকারত্বের হার ছিল ৭.৪ শতাংশ, সেটা ৫ মে বেড়ে হয়েছে ২৫.৫ শতাংশ। পাশাপাশি গ্রাম ও শহরের পরিস্থিতিও তুলে ধরেছে সিএমআইই। তাদের গবেষণা অনুযায়ী আগামী সপ্তাহের জন্য ৬৫ শতাংশ শহরবাসী রসদের ব্যবস্থা করতে পেরেছে। গ্রামে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৫৪ শতাংশ। 

রাজ্য অনুযায়ীও পার্থক্য তুলে ধরেছে সিএমআইই। লকডাউনে দিল্লি, পঞ্জাব এবং কর্ণাটকের মানুষের আয়ের উপর কম প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিহার, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ড।  
 

Share this article
click me!