ভিডিও বার্তায় এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাপুয়া নিউগিনি ও মিশনর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি ২১ মিনিটের ভিডিও বার্তায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের উন্নয়নগুলি তুলে ধরেন।
মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সংসদে দেশের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে কিছু তথ্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীদের বিক্ষোভের কারণে তা তিনি দিতে পারেন। সেই কারণেই শুক্রবার ভিডিও বার্তা দিলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি দেশের পররাষ্ট্রনীতি ক্ষেত্রে যে নীতি নেওয়া আর ভারত যে সাফল্য পেয়েছে তাই তুলে ধরেন ভিডিও বার্তায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'দুঃখজনকভাবে বিরোধীরা বারবার সংসদের উভয়কক্ষের আমার বক্তব্যকে ব্যাহত করেছে। স্পষ্টতই তাদের কাছে জাতীয় অগ্রগতির থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলীয় রাজনীতি। '
এদিন ভিডিও বার্তায় এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাপুয়া নিউগিনি ও মিশনর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি ২১ মিনিটের ভিডিও বার্তায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের উন্নয়নগুলি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এটাই ছিল দ্বিতীয় সরকার মার্কিন সফর। তাঁকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে। তিনি এই সফর প্রতিরক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতকে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে বড় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন শাসন। তিনি আরও ইসরো ও নাসা মহাকাশ গবেষণার জন্য আর্টিমেসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। তারা মহাকাশ গবেষণায় একে অপরতে তথ্য ও প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করবে। ২০২৪ সাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি বিশেষ প্রকল্পেরও সূচনা করতে পারে।
তিনি আরও জানিয়েছেন মোদী রাষ্ট্রসংঘে নবম আন্তর্জাতিক যোগদিবসের নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মোদীর অস্ট্রেলিয়া সফরও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে জয়শঙ্করের বক্তব্যে বিরোধী দলের সদস্যরা বাধা দিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল পাল্টা জবাব দেন। কিন্তু বিরোধীদের শান্ত করতে পারেননি। তারপরই দুটো পর্যন্ত মুলতবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। যাইহোক আবার সভা শুরু হলে জয়শঙ্কর গত চার মাসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের বিদেশ ভ্রমণের বিষয় উত্থাপন করেন। কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বিরোধীরা ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া স্লোগান দিতে থাকে। ব্যহত হয় জয়শঙ্করের বক্তব্।।