সরকার এমন একটি সিস্টেম নিয়ে কাজ করছে যা কর্মীদের পারফরম্যান্সের (পারফরম্যান্স লিঙ্কড ইনক্রিমেন্ট) ভিত্তিতে বেতন বাড়ায়।
অষ্টম বেতন কমিশনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কেন্দ্রীয় কর্মীরা। কিন্তু মনে হচ্ছে সরকার এখন আর কোনো কমিশন গঠনের মুডে নেই। অন্তত তেমনই ধারণা সকলের। সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে আরেকটি বেতন কমিশন গঠনের প্রয়োজন নেই।
অর্থাৎ, এক অর্থে পে কমিশনের দিন শেষ। সরকার এমন একটি সিস্টেম নিয়ে কাজ করছে যা কর্মীদের পারফরম্যান্সের (পারফরম্যান্স লিঙ্কড ইনক্রিমেন্ট) ভিত্তিতে বেতন বাড়ায়। এ জন্য আইক্রয়েড ফর্মুলার ভিত্তিতে সব ভাতা ও বেতন পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পরিবর্তনের জন্য প্রতি দশ বছর অন্তর একটি বেতন কমিশন গঠন করা হয়। তার সুপারিশের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সাতবার বেতন কমিশন দেওয়া হয়েছে।
সপ্তম বেতন কমিশনকে দেওয়া সুপারিশে বিচারপতি মাথুর বলেছিলেন, ‘আমরা আয়ক্রয়েড ফর্মুলায় বেতন কাঠামো স্থির করতে চাই। এক্ষেত্রে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই সূত্রটি দিয়েছিলেন ওয়ালেস রুডেল আইকারোইড। তিনি বিশ্বাস করতেন যে খাদ্য ও বস্ত্র সাধারণ মানুষের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তাদের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদের বেতনও বাড়াতে হবে।’
মূল্যস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীদের বেতন বাড়াতে সরকার কী করছে জানতে চাইলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ জন্য তাদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেওয়া হয়। মুদ্রাস্ফীতির হার শিল্প শ্রমিকদের জন্য সর্বভারতীয় ভোক্তা মূল্য সূচকের ভিত্তিতে গণনা করা হয় এবং এর ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রতি ছয় মাস অন্তর সংশোধন করা হয়। এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মচারীরাও ডিএ-র জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সরকার এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।