হতাশ করল পেহলু খান হত্যার রায়, প্রমাণের অভাবে জগন্নাথ আইন ব্যবস্থা

  • প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেহলু খান হত্যায় অভিযুক্ত ছয়জন
  • বাকি তিন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের মামলা চলছে জুভেনাইল কোর্টে
  • এদিনের রায়ে হতাশ পেহলু খানের পরিবার ও তাদের আইনজীবী
  • ২০১৭ সালে গরুপাচারের সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয় পেহলু খানকে

amartya lahiri | Published : Aug 14, 2019 3:17 PM IST

২০১৭ সালে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল পেহলু খানের। দুই বছর ধরে মামলা চলার পর বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করল রাজস্থানের আলওয়ার আদালত। অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ সরিতা স্বামী এদিন উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত নয়জনের মধ্যে ছয়জনকেই ক্লিনচিট দিলেন। বাকি তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মামলা চলছে জুভেনাইল কোর্টে। স্বাভাবিকভাবেই এই রায়ে হতাশ পেহলু খানের পরিবার ও তাদের আইনজীবী।

রায় ঘোষণার আগে পেহলু খানের আইনজীবী কাসিম খান বলেছিলেন, এই মামলায় রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। তারপরেই তাঁরা অভিযুক্ত অন্তত সাত জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা আশা করছেন। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন মেওয়াত কিষাণ পঞ্চায়েতের সদস্যরাও। মৌলানা হানিফ রায় বের হওয়ার আগে জানান, তিনি খুব কাছ থেকে এই মামলা দেখেছেন। পেহলু খানের দেহের ময়নাতদন্তের সময়ও উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকারীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে বকিদের কাছেও এই বিষয়ে বার্তা যায় - এমনটাই চেয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু, শেষ পর্যন্ত এই মামলার রায় তাঁদের হতাশই করল। আগেই অবশ্য পুলিশ এই ছয়জনকে ক্লিনচিট দিয়ে রেখেছিল। স্থানীয় এক গোশালার কর্মীর বিবৃতি ও অভিযুক্তদের মোবাইল কল রেকর্ডেই এই ছয়জনকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। অথচ পেহলু খান ও তাঁর ছেলেদের গণপিটুনির ঘটনা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী ছিল।

২০১৭ সালের ১ এপ্রিল পেহলু খান ও তাঁর দুই পুত্র ইরশাদ ও আরিফ জয়পুরের এক মেলা থেকে কয়েকটি গরু ও অন্যান্য গবাদি পশু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। হরিয়ানার নুহ-তে জয়পুর ও দিল্লির সংযোগকারী জাতীয় সড়ক ৮-এ একদল লোক চড়াও হয় তাঁদের উপর। গরু পাচার করছেন সন্দেহে তাঁদের বেধাড়ক পেটানো হয়। তিন জনেই গুরুতর আহত হন। তাঁদের আলওয়ারের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন পর সেখানেই মৃত্যু হয় পেহলুর।

 

Share this article
click me!