এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর শাসনকালের সঙ্গে কংগ্রেসের জমনারও তুলনা করেন। তিনি বলেন ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে ৬০০ কোটি টাকা ব্যায় করে মাত্র ২৮৮ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি করেছিলেন।
উত্তরাখণ্ডের (Uttarkhand) উন্নয়ন আগামী দিনে আরও গুরুত্ব পাবে। উত্তরাখণ্ড সফরে গিয়ে সেকথাই স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শনিবার উত্তারাখণ্ডে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনম করেন। পাহাড়ি রাজ্যের রাজধানী দেরাদুনে একটি জনসভাতেই উপস্থিতি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন তাঁর সরকার উত্তরাখণ্ডের আধুনিকীকরণের জন্য ১০০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ আনার পরিকল্পনা করেছে।
আগামী বছরেই উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাবসহ একাধিক রাজ্যের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডেও বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এদিনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি নিশানা করেন বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসকে। তিনি বলেন পার্বত্য এই রাজ্যে কয়েক দশক ধরে শাসনভার হাতে ছিল কংগ্রেসে। কিন্তু এই রাজ্যের উন্নয়নে তারা কোনও দিনই বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। তিনি আরও বলেন পাহাড়, সংস্কৃতি শুধু বিজেপির কাছে বিশ্বাসই নিয়। এই ক্ষেত্রে দেশের নিরাপত্তা জড়ায়ি রয়েছে। পাহাড় বর্তমানে দূর্গের ভূমিকা পালন করে। দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করে। তাই পাহাড়বাসী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নকেই তার সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত কয়ের দশক ধরে যাঁরা এই রাজ্যের ক্ষমতায় ছিলেন তাঁদের মধ্যে কোনও নীতি ও কৌশল ছিল না সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির উন্নয়নের জন্য। আগের সরকার সীমান্তবর্তী রাজ্যের উন্নয়নে যতটা আন্তরিকভাবে কাজ করার কথা ছিল তা করেনি। ' এমনই অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর শাসনকালের সঙ্গে কংগ্রেসের জমনারও তুলনা করেন। তিনি বলেন ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে ৬০০ কোটি টাকা ব্যায় করে মাত্র ২৮৮ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে সাত বছরে ১২ হাটার কোটি টাকা খরচ করে ২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছে। দিল্লি-দেরাদুন অর্থনৈতিক করিডোরের কথাও উল্লেখ করেন। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হবে ৮৩ হাজার কোটি টাকা।
শহরগুলির মধ্যে ভ্রনণের সময় ৬ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আড়াই ঘণ্টা করে দেবে। অর্থনৈতিক করিডোরে হরিদ্বার, মুজাফ্ফরনদর, শামলি, ইয়মুনগর ও বাগপত, মিরাট ও বারাউতের সঙ্গে সংযোগের জন্য ৭টি ইন্টারচেঞ্জ থাকবে। এটি হবে এশিয়ার বৃহত্তম ও উঁচু করিডোর, যেখান দিয়ে অবাধে চলাচল করবে বন্যপ্রাণী। ওয়াইল্ড লাইফ করিডোরের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার । ৩৪০ মিটার দীর্ঘ একটি ট্যানেলও থাকবে গাড়ি চলাচলের জন্য়। এটি হবে এশিয়ার বৃহত্তম ও উঁচু করিডোর, যেখান দিয়ে অবাধে চলাচল করবে বন্যপ্রাণী। ওয়াইল্ড লাইফ করিডোরের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার । ৩৪০ মিটার দীর্ঘ একটি ট্যানেলও থাকবে গাড়ি চলাচলের জন্য়।
Cyclone Jawad: শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, পুরী পৌঁছানোর আগেই নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে
Indian Navy Day: অপারেশন ট্রাইডেন্টের কথা স্মরণ, নৌবাহিনীর সদস্যদের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদীর