প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মোদীর রোডশো-এর ব্বস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রেল স্টেশনের উদ্বোধনের পর স্থানীয় স্টেশন লাগোয়া একটি অঞ্চলে জনসভারও আয়োজন করা হয়েছে।
অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বছরের শেষে ৩০ জানুয়ারি, শনিবার তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে পবিত্র শহরে। সেখানে তিনি বিমান বন্দর ও রেলস্টেশন উদ্বোধন করবেন। একটি রোডশো করবেন ও ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
অযোধ্যা প্রশাসন সূত্রের খবর প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মোদীর রোডশো-এর ব্বস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রেল স্টেশনের উদ্বোধনের পর স্থানীয় স্টেশন লাগোয়া একটি অঞ্চলে জনসভারও আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকেই মোদী জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রথমে বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন মোদী। তারপর যাবেন রেলস্টেশন। এই যাত্রাপথেই রোডশোর আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। সেই দিন উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন আরও অগণিত আমন্ত্রিতরা। তবে তার আগে মোদীর শনিবারের অযোধ্যা সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মোদীর এই সফরকে কেন্দ্র করে আগেই অযোধ্যা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছিল রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগেই বলেছেন, মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ২১ ও ২২ জানুয়ারি বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। তাই রামভক্তদের জন্য দুই দিন দর্শন বন্ধ থাকবে। দর্শন শুরু হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে।
রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে রাম মন্দিরে অনুমোদনহীন ব্যক্তিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর সেই কারণেই কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় জোর দেওয়া হয়েছে ড্রোনের ওপর। বলা হয়েছে, সরকারি অনুমতি ছাড়া গোটা অযোধ্যা শহরেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে ড্রোন ওড়ানো। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকিং পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি বাড়ান হয়েছে।
২২ ও ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠানে আগে ও পরে অযোধ্যা শহরে ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমন্ত্রিত অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে রুট ডাইভারশন সম্পর্কে তথ্য প্রচার করা হবে। সেই অনুযায়ী পথ চলতে হবে দর্শকদের। সূত্রের খবর ইন্টেলিজেন্স ইউং অনুষ্ঠানের সময়ে বিশেষভাবে সক্রিয় থাকবে। নিরাপত্তার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও ব্যবস্থা করা হবে।