রাহুল গান্ধীর ফ্লাইং কিস বিতর্কে সরব হন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী কোনও অংসদীয় আচরণ করেননি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার লোকসভায় উপস্থিত থাকবেন। তিনি কংগ্রেস নেতা তথা কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্য শুনবেন। তেমনটাই জানিয়েছে বিজেপির একটি সূত্র। সূত্রের খবর এটি বিরোধীদলীয় নেতার মতো প্রাতিষ্ঠানিক পদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সম্মানের প্রদর্শনী। এদিন প্রধানমন্ত্রী সংসদে বিকেল ৪টের সময় অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে অংশ নিয়ে জবাবি ভাষণ দেবেন। তবে অধীরের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর শুনতে আসা রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিজেপির রাহুলকে গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আর কংগ্রেসের মধ্য ফাটল ধরানো অধীরকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে।
এদিন সকালেই রাহুল গান্ধীর ফ্লাইং কিস বিতর্কে সরব হন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী কোনও অংসদীয় আচরণ করেননি। তিনি কোনও অংসদীয় কথাও বলেননি। যদিও গতকাল রাহুল গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল লোকসভায়।
সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। প্রধাননন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মৌতব্রত ভাঙতের সংসদে অনাস্থ প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছে কংগ্রেস। অনাস্থা প্রস্তাব আনার সময় এমনটাই বলেছেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৌ। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিল করেছিল বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি মেনে আর বাদল অধিবেশনের তীব্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সংসদে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও ভোটাভুটিতে সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল সংসদে এনডিএ-এর জোটের ৩৩১ জন সাংসদ রয়েছে। বিজেপি সাংসদের সংখ্যা ৩০৩। অন্যদিকে বিরোধী ইন্ডিয়ার সংসদ সংখ্যা মাত্র ১৪৪। কংগ্রেস বিজেপি কোনও জোটে নেই এমন সাংসদের সংখ্যা ৭০। যার মধ্যে অধিকাংশই বিজেপিকে সমর্থন করবে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্ধ্র প্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে আনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। সেই সময়ও তারা পরিজিত হয়েছিল। এদিনও ভোটাভুটি হওয়ার কথা।
সংসদে মোদীর জবাবি ভাষণ বিকেল ৪টে, রণকৌশল ঠিক করতে রাজনাথদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
সংসদে কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে রাজনাথ সিং, প্রহ্লাদ জোশী, পীযূষ গোয়াল, অর্জুন মেঘাওয়ালের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের আলোচনার বিষয় কিছুই প্রকাশ করেননি বিজেপি। অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কের শুরুর দিনও প্রধানমন্ত্রী দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। সংসদে ঢোকার মুখেই প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্রকরে রাস্তা দিয়ে হাঁটানোর তীব্র সমালোচনা করেন। মাত্র ৩৬ সেকেন্ড কথা বলেন। তারপর আর এই বিষয় নিয়ে কিছুই বলেলননি।
রাজ্যসভায় ডেরেককে নিয়ে চূড়ান্ত নাটক, সাসপেন্ডের মাত্র ৩৫ মিনিট পরেই রাজ্যসভায় তৃণমূল নেতা