প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম মিশর সফর মোদীর, ২ দিনের ঠাসা কর্মসূচিতে বাণিজ্য নিয়ে বড় ঘোষণার সম্ভাবনা

দুই দিনের মিশর সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সুয়েজ খাল ইকোনামিক জোনে ভারতীয় শিল্পপতিদের জন্য জায়গা হতে পারে তাঁর এই সফর ঘিরে।

 

Saborni Mitra | Published : Jun 24, 2023 12:18 PM IST

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম নীলনদের দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিনের মিশর সফরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী। নানা কারণে মোদীর মিশর সফর রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ। শনিবার দুই দিনের আমেরিকা সফর শেষ করে সেখান থেকেই মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভারতীয় সময় সন্ধ্যে ৬টা ১৫ মিনিটে মিশরের কায়রো বিমান বন্দরে অবতরণের কথা নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ বিমানের। তিনি ফিরবেন রবিবার।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এদিনই রাত ৮টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মোদী মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাডবাউলির সঙ্গে বৈঠক করবেন। দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তারপরই মোদী দেখা করবেন মিশরে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিশর সফর করছেন। তাই এই সফরের তাৎপর্য আর গুরুত্ব অনেক বলেও দাবি করেছে সাউথ ব্লক।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসির সঙ্গে বৈঠক করবেন। চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন মিশনের প্রেসিডেন্ট। স্বাধীনতার পর জোট নিরক্ষেপ আন্দোলনের সময় থেকেই মিশরের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন মিশরের রাষ্ট্রপতি। সেই আবহেই রবিবার মোদী বৈঠকে বসতে চলেছে তাঁর সঙ্গে। সূত্রের খবর অনুপস্থিতির বিষয় নিয়েও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

সূত্রের খবর শনিবার রাত ১০ট ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মোদী মিশরের গ্র্যান্জ মুফতির সঙ্গে দেখা করবেন। মিশরের প্রথম সারির ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। এই সফরেই প্রধানমন্ত্রী ১১ শতকে নির্মিত আল হাকিম মসজিদও পরিবর্শন করবেন। রবিবার বেলা ১টা নাগাদ প্রাচীন এই মসজিদে যেতে পারেন মোদী। এরপর দুপুর ২টো নাগাদ প্রধানমন্ত্রী যাবেন হেলিওপালিস ওয়ার সিমেন্টিতে। সেখানে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। নিহত সেনারা মিশরকে রক্ষাকরার জন্যই আত্মত্যাগ করেছিল। এটি একটি স্মৃতিসৌধ, যা কমনওয়েলথ দ্বারা নির্মিত হয়েছে। ৩৭৯৯ জন ভারতীয় সেনার স্মারক এটি। এঁরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিশরের বিভিন্ন স্থানে লড়াই করে মৃত্যু বরণ করেছিলেন।

মিশরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে পর দুই নেতা সমঝোতা স্মারকে স্বক্ষর করবেন। বিকেল সাড়ে ৫টা যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও হতে পারে। সেখানেই দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির নিয়ে বড় ঘোষণা হতে পারেষ সূত্রের খবর সুয়েজ ক্যানালের তীরবর্তী সুয়েজ ক্যানাল ইকোনামিক জোন-এর একাংশ ভারতীয় শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিতে পারে মিশর সরকার। তাই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। বাণিজ্যিক দিক থেকে তো বটেই ভূকৌশলগত দিক থেকেও এই চুক্তি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখনও সুয়েজ ক্যানালের গুরুত্ব অপরিসীম। ভূমধ্য সাগরের সঙ্গে ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগরের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী এই খাল দিয়েই প্রতিদিন ৫ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল জলফতে ভারতে আসে। রবিবারই মিশর থেকে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

হোয়াইট হাউসের চমক নীতা অম্বানির, সিল্কের ওপর সোনার সুতোর কাজ করা শাড়িতে ফোটালেন ভারতীয় ঐতিহ্য

বিমান ছাড়ার আগেই 'হাইজ্যাক' বলে চিৎকার , গ্রেফতার যাত্রী বললেন তিনি ' মানসিকভাবে অসুস্থ '

'রাজভবনকে বিকল্প সরকারি কার্যালয় বানিয়েছে বিজেপি', পাটনায় বিরোধী বৈঠকের পর কড়া বার্তা মমতার

 

Read more Articles on
Share this article
click me!