১৯ জানুয়ারি ১৯৯০-তেই কবর দেওয়া হয়েছিল কাশ্মীর-কে, লোকসভায় হুঙ্কার মোদীর

১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি কাশ্মীর উপত্যকা ছাড়তে হয়েছিল হিন্দুদের।

ওইদিনই কাশ্মীরের পরিচয়-কে কবর দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করলেন মোদী।

বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।

নিশানা করলেন উপত্যকার তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই।

 

amartya lahiri | Published : Feb 6, 2020 11:56 AM IST / Updated: Feb 06 2020, 05:28 PM IST

১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি, কাশ্মীর উপত্যকা থেকে পণ্ডিত সম্প্রদায়-নির্বাসনের দিনই কাশ্মিরের পরিচয়-কে কবর দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই কথা বলেই বিরোধী দল বিশেষ করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আক্রমণ শানালেন।

রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদ জ্ঞাপন পর্বে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পণ্ডিতদের বিদায়ের প্রসঙ্গে টেনে আনেন। এই বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা-কেও তীব্র আক্রমণ করেন। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে এই নিয়ে তাঁরা যেসব মন্তব্য করেছেন, তার কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

মোদী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা কাশ্মীরি জনগণকে বিশ্বাস করেন না বলেই এ জাতীয় মন্তব্য করছেন। কিন্তু, তাঁর সরকার কাশ্মীরিদের বিশ্বাস করে, এবং তাদের চাহিদা মেনেই ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ো বিরোধীদের পথ আঁকড়ে চললে এখনও কাশ্মীর সমস্যার কোনও সমাধান মিলত না বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৮৯ সালের শেষদিকে এবং ১৯৯০-এর গোড়ায় জেকেএলএফ এবং ইসলামি চরমপন্থীদের চাপে কাশ্মীরের হিন্দুরা উপত্যকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালের আগে কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় ৬০০০০০ হিন্দু বসবাস করতেন। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০০০-৩০০০ জনে। বিশেষ করে ১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি হিন্দু পণ্ডিতদের কাশ্মীর থেকে পালিয়ে আসার 'মর্মান্তিক দিন' হিসেবে ধরা হয়।

সরকারি হিসাবে প্রায় ৬২,০০০ এরও বেশি পরিবার-কে ভিটেমাটি ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল। তবে শুধু হিন্দুরাই নন, এর মধ্যে বেশ কিছু শিখ ও মুসলিম পরিবার-ও ছিল। এইসব পরিবারের বেশিরভাগই জম্মু, দিল্লি ও তার আশপাশের অঞ্চল এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যে আশ্রয় নেন। প্রধানমন্ত্রীর এদিনর মন্তব্য যদি কোনও ইঙ্গিতবাহী হয়, তবে বলা যেতেই পারে, খুব শিগগিরই উপত্যকায় নিজেদের ঘরে ফিরতে চলেছেন উদ্বাস্তু পণ্ডিতরা।

 

Share this article
click me!