ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১০৮ তম অনুষ্ঠানটি , ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫ জি পরিষেবা ভারতে আনার পর ভিডিও কনফারেন্সের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে নজির গড়লেন তিনি ।
ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১০৮ তম অনুষ্ঠানটি , ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫ জি পরিষেবা এনে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই ভিডিও কনফারেন্সের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার ভাবনা আরো একবার খবরের শিরোনামে নিয়ে এলো তাকে। গত ২ বছর করোনা অতিমারীর কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের অনুষ্ঠান। দু বছর বন্ধ থাকার পর এবার কার্যত ধুমধাম সহকারেই পালিত হবে জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবর্ষ। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে, শেষবারের মতো বিজ্ঞান কংগ্রেসের বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল ব্যাঙ্গালোরে। প্রায় ২ বছর পর ফের এটি হচ্ছে নাগপুরে। সূত্রের খবর রাষ্ট্রসন্ত তুকাদোজি মহারাজ, নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করেছেন এই অধিবেশনের। গত দুই দশকে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলেন না অনুষ্ঠানে।
এর আগে ২০০৪ সালে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী চন্ডিগড়ে উপস্থিত হতে পারেননি জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। আবহাওয়া খারাপের দোহাই দিলেও সেসময় বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা ছিল যে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন বলেই তিনি বিজ্ঞান কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি।
এবারে বিজ্ঞান কংগ্রেসের ফোকাল থিম ' নারী ক্ষমতায়নের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন'।মঙ্গলবারে এই সম্মেলনের এক প্রাথমিক বৈঠকে এই সম্মেলনের উদ্দেশ্যগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিজ্ঞান বিভাগের সচিবরা প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে ২০৩০ এর রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন এই অধিবেশনে। তার সঙ্গেই তারা আলোচনা করেন যে কোভিড মহামারী , কম্পিউটার বিজ্ঞানের অগ্রগতি ,ক্যান্সার গবেষণা , মহাকাশ বিজ্ঞানকে কি করে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া যায়।অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষা , গবেষণা ,অর্থনৈতিক সাম্য সবেতেই মহিলাদের সংখ্যা বাড়ানোরও প্রস্তাব দেন সেদিন ।এমনকি প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে নারীদের অবদান কি সেনিয়েও বিজ্ঞানীরা দেন দীর্ঘ বক্তৃতা। এর মধ্যে শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসেরও উদ্বোধন করা হয়। প্রধানত শিশুদের মধ্যে এই বিজ্ঞানচেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। জৈব-অর্থনীতির উন্নতি এবং তরুণদের কৃষিতে আকৃষ্ট করার জন্যও এবার নেওয়া হয়েছে এক বিশেষ উদ্যোগ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং জিতেন্দ্র সিং, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর ডেপুটি দেবেন্দ্র ফড়নবিসসহ আরও অন্যান্যরা।