দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই যে, মৃত ব্যক্তির শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি সারা রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। শরীরের কিছু অংশ রাস্তার সঙ্গেও লেপটে ছিল। সেই দেহ কোনও রকমে রাস্তা থেকে তুলে ব্রিজের ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হল খালের জলে!
পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তাঁর দেহ কোনও রকমে রাস্তা থেকে তুলে ব্রিজের ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হল খালের জলে। চরম ঘৃণাত্মক এই কাজটি করলেন খোদ পুলিশ কর্মীরাই। বিহারের মুজফফরপুরে এই কাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে উঠল নিন্দার ঝড় ৷
মুজফফরপুরের ফাকুলি ওপি এলাকায় মুজফফর-পটনা প্রধান সড়কের ধোধি খাল সেতুর কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফাকুলি ওপি থানার পুলিশ ৷ দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই যে, মৃত ব্যক্তির শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি সারা রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। শরীরের কিছু অংশ রাস্তার সঙ্গেও লেপটে ছিল।
পুলিশ কর্মীরা সেই স্থানে পৌঁছে তদন্তের স্বার্থে নিহত ব্যক্তির দেহের কিছু অংশ সংরক্ষণ করে দেহটি কোনওরকমে রাস্তা থেকে তুলে ব্রিজের ওপর থেকে খালের জলে ফেলে দেন ৷ সম্পূর্ণ কাণ্ডটি ঘটে প্রকাশ্য দিবালোকেই। রাস্তায় তখন অনেক মানুষের ভিড়ও জমে গিয়েছিল। কিন্তু আইন রক্ষকরা এই বেআইনি কাজটি করার সময় বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করেননি ৷ কোনও এক ব্যক্তি ঘটনাটির ভিডিয়ো রেকর্ড করেন ৷ পরে তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়ে যায় ৷
ন্যক্কারজনক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্ট থানা ৷ ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে যে, ওই ব্যক্তির দেহ এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হলে তা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে কেন নিয়ে যাওয়া হল না? কেন খালে ফেলে দেওয়া হল? ভাইরাল ভিডিয়োর পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মুজফফরপুর পুলিশ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮ অক্টোবর ফাকুলি ওপি এলাকার জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ৷ খবর পেয়ে স্থানীয় থানার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠান ৷ দুর্ঘটনার পর শরীরের সঙ্গে বাজেভাবে লেপটে থাকা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, জামাকাপড় ইত্যাদি নিয়ে পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয় ৷ ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনের হয়রানির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে ৷ ভিডিয়োটি সত্য প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।