বিহারে পাশা উল্টে গেল বিজেপির, জানুন নীতিশ-তেজস্বীর রাজনৈতিক সমীকরণ

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলেন নীতিশ কুমার। পুরনো সঙ্গী লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গেই হাত মেলালেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে রিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখান থেকেই আগামী রণনীতির কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

Saborni Mitra | Published : Aug 9, 2022 10:30 AM IST

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলেন নীতিশ কুমার। পুরনো সঙ্গী লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গেই হাত মেলালেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে রিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখান থেকেই আগামী রণনীতির কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি। 

নীতিশের নতুন জোট
তবে নীতিশ কুমার এদিন সকাল থেকেই যে লালু প্রসাদের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন সেই লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাড়িতে গিয়ে বিহারে অ-বিজেপি জোট নিয়ে পাকা কথা বলে আসেন। আর নতুন রাজনৈতিক জোট ঘিরে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য আগামী নিজের বাড়ির পাশাপাশি রাবড়ি দেবীর বাড়িতেও কড়়া নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করেন। বিজেপির সঙ্গ ছাড়লে আগামী দিনে বিহারের রাজনৈতির পাটিগণিত কী হবে? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। 

জেডিইউ ও আরজেটির রাজনৈতিক পাটিগণিত 
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থাকবে নীতিশ কুমারের হাতে। অন্যদিকে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের হাতে থাকবে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। সমস্ত মন্ত্রকের দায়িত্ব হবে নীতিশ কুমারের বিশেষাধিকার। স্পিকার নির্বাচন করা হবে তেজস্বী যাদবের দলের সদস্যদের মধ্যে থেকে। 

নতুন জোটকে সমর্থন
নীতিশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের এই জোটকে অর্থাৎ বিহারের অ-বিজেপি জোটকে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছে বাম রাজনৈতিক দলগুলি। পাশাপাশি কংগ্রেস ও বেশ কয়েকটি স্থানীয় দলও নিঃশর্ত সমর্থন দওয়ার কথা বলেছে নীতিশের নতুন জোটকে। 

জোটের ইতিহাস 
২০১৫ সালে নীতিশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদবের দল একসঙ্গে লড়াই করে বিহারের ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু বেশিদিন একসঙ্গে থাকেনি। ২০১৭ সালে লালু প্রসাদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতিশ। তার হাত ধরেই বিহারে বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনে নীতিশ ও বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটে লড়েছিল। কিন্তু সেবছর ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দল। নেতৃত্বে ছিলেন মাত্র ৩২ বছরের তেজস্বী যাদব। তাঁরা পেয়েছিলেন ৭৫টি আসন। একটি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি আর ৪৩ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যায় নীতিশ কুমারের জেডিইউ। কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৯টি আসন। 

কিন্তু সেই সময় বিহারের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছিল তেজস্বী যাদবের। কারণ বিহারের চতুর্থ শক্তি হিসেবে মাঠে নেমেছিল চিরাগ পাসওয়ানের লোকশক্তি দল। কিন্তু ভোটের ময়দানে তেমন কিছু করতে পারেননি রামবিলাসের পুত্র। তাই  বিজেপির থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতার ধারেকাছে ঘেঁসতে পারেননি তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায় বিজেপির ভোট কেটে কিছুটা হলেও সুবিধে করে দিয়েছিলেন তেজস্বীর। যাইহোক চিরাগ পাসওয়ান  কিন্তু নীতিশ আর তেজস্বীর জোট নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনই স্পষ্ট করে দেবে বিহার আগামী দিনে কার দখলে থাকবে।

মন ভাল রাখতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বই চেয়েছেন, ক্যান্টিনে গিয়ে রসনা তৃপ্তিও করেছেন

কেরলে জঙ্গলের মধ্যে মাটি খুঁড়তেই অত্যাশ্চর্য, বেরিয়ে এল হাজার বছরের পুরনো শিবলিঙ্গ

প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, ২ হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটছেন হরি

Read more Articles on
Share this article
click me!