করোনা সংকটে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর 'শাস্তি', কর্নাটক সরকার সরিয়ে দিল আইএএস মনিভান্নানকে

শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন
তারপরই সরকারের সঙ্গে বিরোধ
সরিয়ে দেওয়া হল কর্নাটকের শ্রম দফতের সচিবকে
শ্রম সচিবকে ফেরাতে আন্দোল শুরু 
 

Asianet News Bangla | Published : May 12, 2020 11:27 AM IST

কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা মত করোনাভাইরাসের এই সংকটকালীন সময় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গত ১৩ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি করেছিলেন তিনি। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, কোনও কর্মীর বেতন কাটা যাবে না। কোনও অস্থায়ী কর্মীকে সরিয়েও দেওয়া যাবে না। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর এক মাসও কাটল না। বদলির নোটিশ পেলেন আইএএস অফিসার পি মনিভান্নান। কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার তাঁকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্রম দফতরের প্রধান সচিব ছিলেন পি মনিভান্নান। পাশাপাশি তথ্য জনসংযোগ দফতরেরও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। 

আরও পডুনঃ আবারও অভিবাসী শ্রমিকের রক্তে লাল হল রাজপথ, বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় হত ৪ ...

আরও পড়ুনঃ এয়ার ইন্ডিয়ায় আবারও করোনা হামলা, তামিলনাড়ুতে অভিযুক্তকে পাড়াও করায় সিল করতে হল থানা ..

আরও পড়ুনঃ এরপরেও কি ওঁরা ফিরে আসবেন শহরে, লকডাউনের 'জ্বালাময়' দিনগুলি কাটানোর পর প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে ...
 
সোমবার সন্ধ্যেই পি মনিভান্নানকে বদলির নোটিশ দেওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বহু মানুষ। মনিভান্নানকে অবিলম্বে শ্রমদফতরের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। কর্নাটক সরকারের একটি সূত্র বলছে নোটিশ জারি করার পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭০০টি অভিযোগ পেয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে সংঘাতে যেতে হয়। সূত্রের খবর কর্নাটকের শ্রম মন্ত্রীর সঙ্গেও সুসম্পর্ক ছিল না এই পদস্থ এই আমলার। এরই পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে মনিভান্নানকে সরানোর জন্য রাজ্যের বেসরকারি সংস্থাগুলিও চাপ তৈরি করেছিল মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা সরকারের ওপর। বড় সংস্থা গুলির পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিরাও শ্রমদফতরের এই কর্তার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল কর্মীদের বেতন দিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। 


মনিভান্নানকে তাঁর পদে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে আল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল ওব ট্রেড ইউনিয়ন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মনিভান্নান কর্মীদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নোটিশ জারি করায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছিল কর্নাটকের বেসরকারি সংস্থাগুলি। তাই তারাই মুখ্যমন্ত্রীর ওপর চাপ তৈরি করতে থাকে। মনিভান্নানকে সরানোর জন্য কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারও মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার প্রবল সমালোচনা করেছেন। তবে এরই মধ্যে মনিভান্নানকে ফিরিয়ে আনতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। যার প্রথম সারিতেই রয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়েছে হ্যাসট্যাগ ব্রিংব্যাকমনিভান্নান নামের আন্দোলেন। কর্নাটকা এমপ্লয়িজ অ্যাসোশিয়েশনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। 
 

Share this article
click me!