জালিয়াতরা নিজেদের আসল বলে প্রমাণ করার জন্য ভুয়ো ক্যুরিয়র সার্ভিসের নাম করে ওয়েবসাইট খুলেছে এবং সেই ওয়েবসাইটে কেউ নিজের তথ্য আপলোড করলেই সেই তথ্য অন্যান্য জালিয়াতদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
ক্যুরিয়র সার্ভিসে এসেছিল পার্সেল, সেই পার্সেল নেওয়ার জন্য দিতে হল সামান্য টাকা। আর, সামান্য টাকা দিতে গিয়েই হাজার হাজার টাকা খোয়ালেন এক মহিলা। পঞ্জাবের মোহালি শহরের এই ঘটনায় এখন সাইবার তদন্তের মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে অজানা অচেনা ক্যুরিয়র সার্ভিসের ফাঁদ। এই ফাঁদ পেতেই সাধারণ মানুষদের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা।
-
মোহালিতে শিফালি চৌধুরী নামের এক মহিলার কাছে একটি অজানা ক্যুরিয়র সার্ভিসের মারফৎ একটি পার্সেল পাঠানোর জন্য ফোন করা হয়েছিল। নিজে কিছু অর্ডার না করে থাকলেও অন্য কেউ কিছু পাঠিয়েছেন ভেবে ফোন কলে সেই পার্সেল নিতে রাজি হয়ে যান মহিলা। তখন ফোনের ওপার থেকে তাঁকে বলা হয় যে, পার্সেলটি নিতে হলে তাঁকে মাত্র ৫ টাকা পাঠাতে হবে। সামান্য ৫ টাকা দেওয়ার জন্য আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি শিফালি।
-
এরপর শিফালির কাছে একটি হোয়াট্সঅ্যাপ লিঙ্ক পাঠানো হয়। ওই লিঙ্ক মারফৎ ৫ টাকা পাঠাতে বলা হয়। তিনি ৫ টাকা পাঠিয়ে দেন এবং তাঁর ব্যাঙ্ক মারফৎ তাঁর কাছে ৫টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ-ও আসে। তিনি পার্সেল পাওয়ার জন্য নিশ্চিত হয়ে যান। কিন্তু, তার কিছুক্ষণ পরেই ঘটে অঘটন!
-
পর পর দু'বার শিফালির কাছে ব্যাঙ্কের মেসেজ আসে যে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। দু'বার কেটে নেওয়ার অর্থ হল, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৮০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এই মেসেজ পেয়েই তাঁর টনক নড়ে। তিনি তড়িঘড়ি পুলিশের দ্বারস্থ হন। সাইবার শাখার পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, যেকোনও লিঙ্কে ক্লিক করে টাকা না পাঠানোরই পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। কারণ, জালিয়াতরা নিজেদের আসল বলে প্রমাণ করার জন্য ভুয়ো ক্যুরিয়র সার্ভিসের নাম করে ওয়েবসাইট খুলেছে এবং সেই ওয়েবসাইটে কেউ নিজের তথ্য আপলোড করলেই সেই তথ্য অন্যান্য জালিয়াতদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।