হিংসা বিধ্বস্ত সংভলে যাওয়ার পথে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে পুলিশ বাধা দিয়েছে। কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ফের উত্তেজনা তৈরি হল এলাকায়।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বুধবার সকালে হিংসা প্রভাবিত উত্তরপ্রদেশের সংভলে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। তাদের কনভয় দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ কংগ্রেস নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে সংভলে যাওয়ার অনুমতি নেই। সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে শত শত সাধারণ মানুষের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এদিকে, সংভলে যেতে বাধা দেওয়ায় রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা দিল্লি এবং নয়ডার মধ্যবর্তী গাজিপুর সীমান্তে অনেকক্ষণ ধরে অবস্থান করেন। রাহুল গান্ধী তার গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন, কিন্তু তাদেরকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, অন্তত পাঁচজনকে সংভলে যেতে দিন, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা এর জন্যও রাজি হননি।
কংগ্রেস কর্মীরা ব্যারিকেডে উঠার চেষ্টা করে
রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাথে কংগ্রেসের শত শত কর্মী উপস্থিত ছিলেন। কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের পর সীমান্তে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কংগ্রেস নেতাদের কনভয় সীমান্তে পৌঁছালে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়। এর ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দলীয় কর্মীরা ব্যারিকেডে উঠার চেষ্টা করে।
কংগ্রেস নেতারা বুধবার সকাল প্রায় ১০:১৫ মিনিটে দিল্লি থেকে রওনা দেন। তারা প্রায় ১১ টায় সীমান্তে পৌঁছান। ভিড়ের কারণে তাদের কনভয় এগোতে পারেনি। সংভলের কর্মকর্তারা প্রতিবেশী জেলাগুলিকে অনুরোধ করেছেন যাতে তারা কংগ্রেস নেতাদের জেলায় প্রবেশ করার আগেই বাধা দেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বুলন্দশহর, আমরোহা, গাজিয়াবাদ এবং গৌতম বুদ্ধ নগরের কর্মকর্তাদের চিঠি লিখে গান্ধী পরিবারকে সীমান্তেই আটকে রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংভলে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
উল্লেখ্য, সংভলে বহিরাগতদের প্রবেশে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মোগল আমলের শাহী জামা মসজিদের সমীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট হিংসার পর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংভলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ এর ১৬৩ ধারা (যা আগে ধারা ১৪৪ নামে পরিচিত ছিল) প্রয়োগ করা হয়েছে। এর অধীনে পাঁচ বা তার বেশি লোকের জড়ো হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।