করোনা সংক্রমণের জেরে দেশের আর্থনীতি একেবারে খাদের কিনারায় চলে এসেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। প্রতিদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে যার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এবার প্রধানমন্ত্রী সেই ২০ লক্ষ কোটি টাকার আজ্ঞথিক প্যাকেজ পুনর্বিন্যাসের দাবি তুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বললেন, সরাসরি গরিব মানুষদের হাতে টাকা দিন।
করোনার আঁতুরঘর চিনকে এবার পেছনে ফেলে দিল ভারত, বিশ্বের ক্রম তালিকায় উঠে এল ১১ নম্বরে
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পাঠিয়েছিলেন মোদী, ভেন্টিলেটর দিয়ে এবার ঋণ শোধ করছেন ট্রাম্প
করোনাভাইরাসে এবার ঝুঁকির মুখে ছোটরাও, আশঙ্ক প্রকাশ 'হু'-র, নিউইয়র্কে দেখা মিলল বিরল উপসর্গের
দেশে চলতে থাকা লকডাউন নিয়ে প্রথম থেকেই মোদী সরকারের বিরোধীতা করে আসছেন রাহুল গান্ধী। এবার রাহুলের অভিযোগ, যে প্যাকেজ সরকার ঘোষণা করেছে তাতে সাধারণ মানুষ সরাসরি কোনও সুবিখা পাচ্ছেন না। রাহুল এদিন আরও একবার সরাসরি কৃষক, পরিযায়ী শ্রমিক এবং গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন।
জুম ভিডিও কলের মাধ্যমে শনিবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রিপোর্টারদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর কথায়, “কোনও মা তাঁর সন্তানকে খাবার যোগানোর জন্য সবকিছু করতে পারেন। তেমন সরকারেরও উচিত, প্রত্যেক দরিদ্র ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া। না হলে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।” পরে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।”
গতবছর ভোটের আগে কংগ্রেস ‘ন্যায় প্রকল্পের’ কথা বলেছিল। শনিবার ফের সেই প্রকল্পের কথা বলেন রাহুল। তাতে বলা হয়েছিল, দেশের দরিদ্রতম ব্যক্তিদের বছরে ৭২ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ করে দেওয়া হবে। রাহুলের দাবি, মোদী সরকার অবিলম্বে ওই ধরনের কোনও প্রকল্প চালু করুক।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের প্যাকেজে এখনও পর্যন্ত বাজারে জোগান বাড়ানোর জন্য বহু মানুষকে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হলেও, চাহিদা অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে সে অর্থে কিছুই বলা হয়নি। এদিন সেই বিষয়টিই উত্থাপন করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন,”মানুষ কাজ করা শুরু করলে অর্থনীতি এমনিই চলতে শুরু করবে। সেজন্য বাজারে চাহিদা বাড়াতে হবে। চাহিদা বাড়াতে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়াটাই একমাত্র উপায়।” এ প্রসঙ্গে গ্রামাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজ এবং শহরাঞ্চলে কংগ্রেস প্রস্তাবিত ‘ন্যায়’-এর ধাঁচে কোনও প্রকল্প আনা যেতে পারে বলে মনে করছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের মতে, এবার সময় এসেছে লকডাউন তুলে অর্থনীতি চালু করার। নাহলে করোনার থেকেও বেশি ক্ষতি হবে অর্থনীতি ধসে গেলে।