মুম্বইয়ে ২৬শে নভেম্বর যে হামলা হয়েছিল, তাতে পাকিস্তানকে আড়াল করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। এমনই দাবি ইলেকট্রনিকস, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের।
১৩ বছরের ক্ষত। আজও দাগ শুকোয়নি মুম্বই তথা ভারতের। সেই বিভীষিকাময় রাত মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠে তামাম ভারতীয়। অথচ মুম্বইয়ে ২৬শে নভেম্বর যে হামলা(26/11 Mumbai Attack) হয়েছিল, তাতে পাকিস্তানকে আড়াল করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। এমনই দাবি ইলেকট্রনিকস, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা (Electronics and Information Technology & Skill Development and Entrepreneurship) প্রতিমন্ত্রী (Minister of State) রাজীব চন্দ্রশেখরের (Rajeev Chandrasekhar)। তিনি বলেন মুম্বই হামলার পিছনে আরএসএসের হাত রয়েছে, এমনই তত্ত্ব তুলেছিল কংগ্রেস (Congress)। এটা আর কিছুই নয়, পাকিস্তানকে (Pakistan) আড়াল করার চক্রান্ত।
মোদীর এই মন্ত্রী আরও বলেন পাকিস্তানি সেনাকে যাঁরা ভাই বলে সম্বোধন করে, তাদের থেকে আশা করার কিছু নেই। মুম্বই হামলাকে আরএসএসের চক্রান্ত বলে তত্ত্ব খাড়া করে আসলে পাকিস্তানের মুখোশটাই ঢাকতে চেয়েছে কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের জঙ্গি আজমল কাসভ-সহ একাধিক জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করে। পাশাপাশি ছত্রপতি শিবাজি রেলস্টেশন, তাজহোটেলসহ একাধিক জায়গায় হামলা চালায়। ভয়ঙ্কর সেই হামলায় ৬ আমেরিকান-সহ ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। এই হামলার জীবিত জঙ্গি হিসেবে একমাত্র আজমল কাসভকেই গ্রেফতার করেছিল ভারত। বাকিরা সকলেই নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়। লম্বা বিচারপক্রিয়া পেরিয়ে কাসভকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কিন্তু বিচারে আরও একাধিক জঙ্গিদের নাম সামনে আসে। কিন্তু তাঁদের এখনও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যেই আনা যায়নি।
মুম্বই বিস্ফোরণে আরও এক অন্যতম মাথা ছিল দাউদ গিলানি। মার্কিন আদালতে গিলানির সাক্ষ অনুযায়ী জানা যায় যে, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার কৌশল, আইএসআই-র কাছ থেকেই পেয়েছিল। এই কাজের জন্য তাঁকে ২৯ হাজার ৫০০ ইউর দেওয়া হয়েছিল। যা তিনি পেয়েছিলেন একজন আইএসআই অফিসারের কাছ থেকে। মার্কিন আদালতের নথিতে যিনি মেজর ইবাল নামে পরিচিত।বাকি অর্থ এসেছিল হ্যাডলির কাছে, সাজিদ-ওয়াজিদ নামের এক আইএসআই অপারেটরের কাছ থেকে। যিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে মাজিত মির নামে পরিচিত। বহিরাগত অপারেশনের প্রধান ছিল এই মাজিতই।
এর আগে, মঙ্গলবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ মণীশ তিওয়ারি তাঁর লেখা নতুন একটি বই থেকে একটি উদ্ধৃতি প্রকাশ করে দলকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেললেন। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর মনমোহন সিং-এর (Manmohan Singh) নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-১ সরকারের (UPA-1 Govt) প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন তিনি। আর এই নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে দেরি করেনি বিজেপি।
Gautam Gambhir: পাকিস্তান থেকে খুনের হুমকি গৌতম গম্ভীরকে, তদন্তে অপরাধী চিহ্নিত
মণীশ বলেছেন, ২০০৮ সালের ওই হামলার পর, ভারতের উচিত ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'একটি গতিশীল প্রতিক্রিয়া' দেওয়ার। অর্থাৎ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা উচিত ছিল মনমোহন সরকারের। তিনি আরও বলেছেন, সংযম কোনও কোনও শক্তির বহিপ্রকাশ নয়, এটি 'দুর্বলতার চিহ্ন'। এদিন টুইটারে সেই বইয়েরই প্রচারে, বইটির কিছু অংশ ফাঁস করেন মণীশ। যা আগামী বছরের শুরুতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হাতে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ তুলে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।