Rajkaran Barua: ২৫ বছর ধরে পাশ করার চেষ্টা, ২৩ বার ফেল করে অবশেষে অঙ্কে স্নাতকোত্তর হলেন দরিদ্র নৈশপ্রহরী

একটি কষ্টার্জিত সাফল্য পাওয়ার জন্য তাঁকে পেরোতে হয়েছে মোট ২৩টি ব্যর্থতা। ২৩ বার গণিতে ফেল করেও অঙ্কের প্রতি তাঁর মনোযোগ ও নিষ্ঠা ছিল অটুট।

Sahely Sen | Published : Nov 29, 2023 2:57 AM IST

অর্থ উপার্জন এবং জীবনে আরও বেশি সাফল্য অর্জনের দৌড়ে বহু মানুষ শিক্ষার মূল্য ভুলে যান। খুব কম লোকই মনে করেন যে, শুধুমাত্র জ্ঞানের জন্য পড়াশোনা করা যায়, পড়াশোনা সবসময় অর্থ উপার্জনের জন্য হয় না। জীবনের ইঁদুরদৌড় অনেক সময় কোনও নতুন কিছু শেখার আনন্দকে নষ্ট করে দেয় এবং দুর্ভাগ্যবশত সারা পৃথিবীটা দিনে দিনে আরও পুঁজিবাদী মানসিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এমন একটা সময়ে দাঁড়িয়ে, এমন কোনও মানুষকে পাওয়া কঠিন, যিনি শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়াশোনা করবেন। রাজকরণ বড়ুয়া হলেন একজন ৫৬ বছর বয়সি নিরাপত্তা প্রহরী। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা রাজকরণ সমগ্র পৃথিবীর মানুষের জন্য একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছেন, এই বয়সে এসে নিজের দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে।

পাহারাদারের চাকরি করে রাজকরণ বড়ুয়া প্রত্যেক মাসে ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা করে বেতন পান। তিনি সম্প্রতি জবলপুরের রানি দুর্গাবতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।

-

আরও আনন্দের কথা হল যে, এটাই তাঁর সর্বপ্রথম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নয়। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রত্নতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। কিন্তু, সারাজীবন ধরে তিনি সবসময় অঙ্ক শিখতে এবং এই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে চেয়েছিলেন।

-

নিজের কোর্সটি সম্পূর্ণ করার জন্য রাজকরণ খুবই উত্সাহী ছিলেন। ২৫ বছর ধরে অঙ্ক কষে কষে অবশেষে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পরীক্ষাতে সফল হয়েছেন। তবে, এই একটি কষ্টার্জিত সাফল্য পাওয়ার জন্য তাঁকে পেরোতে হয়েছে মোট ২৩টি ব্যর্থতা। ২৩ বার গণিতে ফেল করেও অঙ্কের প্রতি তাঁর মনোযোগ ও নিষ্ঠা ছিল অটুট। ২৫ বছর ধরে তিনি নিজের জন্য জীবিকা নির্বাহ করতে এবং নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে রাতে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে এবং দিনের বেলা বাড়ির সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করে গেছেন।

-

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে বড়ুয়া বলেছেন, "আগে আমি ইংরেজি ভাষার বই থেকে অনেক পড়াশোনা করেছি। আমি একটি অভিধানের সাহায্যেও পড়াশোনা করেছি। একটা বিষয় বাদে, আমি বাকিগুলোতে বারবার ফেল করতে থাকি। কিন্তু ২০২১ সালে, আমি শেষ পর্যন্ত পাস করেছিলাম। ফাইনাল পরীক্ষার জন্য আমি একজন ভারতীয় লেখকের লেখা বই থেকে পড়াশোনা করেছি এবং একযোগে পাস করেছি।"

Share this article
click me!