আরও একবার করোনিল নিয়ে আসরে রামদেব, বললেন 'প্রথম প্রমাণ ভিত্তিক করোনর ওষুধ'

Published : Feb 19, 2021, 06:17 PM IST
আরও একবার করোনিল নিয়ে আসরে রামদেব, বললেন 'প্রথম প্রমাণ ভিত্তিক করোনর ওষুধ'

সংক্ষিপ্ত

করোনিল নিয়ে আসরে রামদেব বললেন প্রথম প্রমাণ ভিত্তিক করোনার ওষুধ হাতে রয়েছে গবেষণা পত্র  বিক্রি করতে পারবে দেড়শোর বেশি দেশে 

আবারও করোনিল নিয়ে সরব হলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। শুক্রবার তিনি আরও একবার করোনিলের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, করোনার ওষুধ করোনিল। একটি অনুষ্ঠানে গবেষণা পত্র নিয়েই রামদেব করোনিলের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি এটিই প্রথম প্রমাণ ভিত্তিক করোনার ওষুধ।  ইতিমধ্যেই পতঞ্জলি দেড়শোর বেশি দেশের কাছে ওষুধ বিক্রির অনুমতি পেয়েছে। পতঞ্জলির ওষুধ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রশ্ন তুলেনি কেউ। করোনিলের কোনও পার্শ্বক্রিয়া নেই বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, করোনিল অ্যালোপ্যাথির কার্যকর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। 

শুক্রবার হরিদ্বারে রামদেব জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংশাপত্রের স্কিম অনুসারে করোনিল এখন আয়ুশ মন্ত্রকের কাছ থেকে শংসাপত্র পেয়েছ। সংস্থাটির দাবি কোভিড ১৯এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রথম প্রমাণ ভিত্তিক ওষুধ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য হর্ষ বর্ধন ও পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকরির সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে ওষুধটির আনুষ্ঠানিক সূচনা  করেন তিনি। করোনিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্কিম অনুয়ায়ী সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনএর আয়ুষ মন্ত্রকের থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্ট বা সিওপিপি সার্টিফিকেট পেয়েছে, বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে পতঞ্জলি। 

সিওপিপি-র আধীনে করোনিল এখন ১৫৮টি রফতানি করা যাবে। যা নিয়ে রীতিমত উচ্চসিত রামদেব। তিনি বলেন,  সাশ্রয়ী মূল্যের চিকিৎসা দেওয়ার পৌঁছে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার করোনার ওষুধ বাজারে আনলেন রামদেব। গতবছর মাঝামাঝি সময় গোটা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের টিকার খোঁজে রাতদিন এক করছে তখনই রামদেব করোনিল বাজারে এনেছিলেন। দাবি করেছিলেন মাত্র ৭ দিনেই করোনা থেকে মুক্তি দেবে করোনিল। কিন্তু তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে কিছুটা পিছু হাঁটে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় উত্তরাখণ্ড সরকার স্পষ্ট জানিয়েছিল পতঞ্জলি করোনার চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরি করার ক্ষেত্রে কোনও রকম লাইসেন্স নেয়নি। আয়ুর্বেদ বিভাগও জানিয়েছিল রামদেবের করোনিল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় তা ব্যবহার করা যাবে না। ক্লিনিক্যাল টেস্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সেই সময়। 

সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারে চাপে পড়ে আয়ুশ মন্ত্রক বাধ্য হয়ে পতঞ্জলিকে করোনিলে করোনার  বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এফআইআরও করা হয়েছিল রামদেবের বিরুদ্ধে। বিতর্ক চাপা দিতে করোনা পতঞ্জলি জানিয়েছে তারা করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধই তৈরি করেনি। কিন্তু একবছরও কাটলা না। আরও একবার নতুন উদ্যমে মাঠে নামলেন রামদেব। আয়ুশ মন্ত্রক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে করোনিলকে হাতিয়ার করে নতুন উদ্যমে তিনি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। 

PREV
click me!

Recommended Stories

লোকসভার ব্যস্ত মঙ্গলবার: গুরুত্বপূর্ণ বিল ও কমিটির রিপোর্ট পেশের তালিকা, দেখে নিন
রইল আপনার শহরের আজকের ডিজেল ও পেট্রোলের দাম