রেণুকাচার্যের দাবি বিকিনি শব্দের ব্যবহারই বলে দেয় প্রিয়াঙ্কা কোন মানসিকতা থেকে বক্তব্য রেখেছেন। কলেজে পড়া যে কোন মেয়ের সর্বাঙ্গ ঢেকে পোশাক পরা উচিত।
হিজাব ইস্যু নিয়ে তোলপাড় প্রায় গোটা দেশ। এরই মাঝে নয়া বিতর্কের (fresh controversy) ধুনো তুললেন কর্নাটক বিজেপি বিধায়ক (Karnataka BJP MLA) রেণুকাচার্য (Renukacharya)। তাঁর দাবি মেয়েদের পোশাকের (women’s clothes) জন্যই দেশে ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে (rapes are increasing)। বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্যের ফলে বেশ বড়সড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এর আগে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে বলেন 'বিকিনি, ঘোমটা, জিন্স বা হিজাব-মহিলারা কী পরতে চান সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিজেরাই গ্রহণ করুন।' এক মহিলা কী পরবেন সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিজেরাই গ্রহণ করুক। মহিলাদের এভাবে অযথা হয়রানি বন্ধ করা হোক। তিনি আরও বলেছেন ভারতীয় সংবিধান মহিলাদের সেই অধিকার দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে তোলা তাঁর জনপ্রিয় স্লোগান লড়কি হু, লড় সকতি হু- এটিও হ্যাশট্যাগ করেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এই টুইটের উত্তরও দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি থাম্বস-আপ ইমোজি দিয়েছেন।
উত্তর প্রদেশ নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে প্রিয়াঙ্কার এই বার্তা যথেষ্টও গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই বার্তা দিয়ে তিনি উত্তর প্রদেশের মহিলাদের মন আরও একবার জয় করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি হিজাব ইস্যুতে উত্তর আন্দোলনকারী মহিলাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কার এই বক্তব্যকে ইস্যু করে মুখ খুলেছে বিজেপির এই বিধায়ক। রেণুকাচার্যের দাবি এই ধরণের বক্তব্য নীচু মানসিকতা থেকে আসে। বিকিনি শব্দের ব্যবহারই বলে দেয় প্রিয়াঙ্কা কোন মানসিকতা থেকে বক্তব্য রেখেছেন। কলেজে পড়া যে কোন মেয়ের সর্বাঙ্গ ঢেকে পোশাক পরা উচিত। মেয়েদের বিভিন্ন অশালীন জামাকাপড় থেকেই দেশে ধর্ষণের সংখ্যা এত বাড়ছে। মেয়েদের পোশাক পুরুষদের উত্তেজিত করে। এটা ঠিক নয়। দেশের ঐতিহ্য মেনে নিজেদের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব মেয়েদেরই নেওয়া উচিত।
এর আগে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছিলেন যে কোনও মহিলা যা চান তা পরার অধিকার ভারতের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই মহিলাদের হয়রানি বন্ধ করা হোক। আগের দিন, কর্ণাটকের শক্তি মন্ত্রী সুনীল কুমার বলেছিলেন যে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের হিজাব পরতে বলে একটি আইন করবে।
নেহেরুর জন্য কারও সার্টিফিকেট দরকার নেই, মোদীকে টার্গেট রাহুলের
মমতার সব স্লোগানকে ছাপিয়ে গেল 'খেলা হবে', যোগী রাজ্যেও কী পাবে সাফল্য
কর্ণাটকের উপকূলীয় শহর উদুপিতে একটি সরকারী প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছয়জন মুসলিম মেয়েকে হিজাব পরে ক্লাসে যেতে বাধা দেওয়া হয়। জানানো হয় ওই কলেজের নিয়ম অনুসারে পয়লা জানুয়ারি থেকে হিজাব পরে কলেজে আসা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপরেই প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। হিন্দু কলেজের ছাত্ররা জাফরান স্কার্ফ পরে এবং জাফরান পতাকা নেড়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তাদের দাবি হিজাব পরে কলেজে যেতে পারলে, তাদের ধর্মীয় পোশাক এবং প্রতীক প্রদর্শনের অনুমতিও কলেজে দেওয়া হোক।