এক সরকারের পতন নিয়েই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢ়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জগগণ এটা পছন্দ করে না। কোথাও একটি সরকার আছে- যারা ভোটে জিতে সরকার গঠন করেছেন।
আমেঠির প্রার্থীর দিকে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছেন সুপরিচিত ব্যবসায়ী তথা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢ়রা। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা ও স্বৈচারী ব্যবস্থার দিয়ে দেশকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলছেন। পাশাপাশি কংগ্রেসকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, কাউকে জেলে পাঠান বা সংসদ থেকে বহিষ্কার করা বা কারও বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করার রাজনীতিকে গণতন্ত্র বলা হয় না। এটি একনায়কতন্ত্র।
সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রবার্ট বঢ়রা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর দুর্বলতার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস বা অন্য কোনো দল ক্ষমতায় থাকলে, তাদের নেতাদের ইচ্ছাকৃতভাবে কারারুদ্ধ করা হয়, এবং সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়... এটাকে বলে স্বৈরাচার, গণতন্ত্র নয়'। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস কঠোর পরিশ্রম করছে। সেখানে বিজেপি দলটিকে ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের পতনের চেষ্টায় বিজেপি সমানে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, গোটা দেশের মানুষই এটা দেখছে। গোটা বিষয়টা মানুষ বুঝছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একের পর এক সরকারের পতন নিয়েই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জগগণ এটা পছন্দ করে না। কোথাও একটি সরকার আছে- যারা ভোটে জিতে সরকার গঠন করেছেন। সেই সরকার মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই সরকার ফেলে দেওয়া হয়। এই অস্থিরতার প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করেন। বলেন, কংগ্রেস বা অন্য কোনও দল কোনও রাজ্যে সরকারে থাকলে, আপনি তাদের নেতাদের জেলে রাখবেন বা সংসদ থেকে বের করে দেবেন বা তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ করবেন। এ ধরনের রাজনীতিকে গণতন্ত্র বলে না, এটা এক ধরনের রাজনীতিকে স্বৈরাচার ।
কংগ্রেসের ইস্তাহের নিয়েও মন্তব্য করেন রবার্ট বঢ়রা। তিনি বলেন, ইশতেহার সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন তবে লোকেরা মনোযোগ দেবে না, মানুষ উন্নতি চায়। মানুষ এখন উন্নতির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ এমন নেতাকে চায় যার কাছে তাদের প্রত্যাশা থাকে অগ্রগতির কথা। মানুষ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার উন্নতির কথা বলুন। একটি ছোট ইশতেহারে এত জোর দেওয়া তাদের জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না।